কুড়িগ্রামে অপহরণ মামলার মূলহোতা সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ

কুড়িগ্রামের রাজারহাটের ছিনাইহাট পালপাড়া গ্রামের মোঃ ছবরুল হক এর ছেলে মোঃ মাহমুদ উল ফেরদৌস মামুন (২৮) গত ০৯ অক্টোবর বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরে না আসায় বাদী ও তার পরিবারের লোকজন জানতে পারেন কিছু অজ্ঞাত ছেলেরা তার সন্তানকে মোটরসাইকেলে জোরপূর্বক উঠিয়ে অপহরন করেন এবং একইদিন সন্ধ্যায় তার অপহরণ হওয়া সন্তানের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর থেকে অপহরণকারীরা মূক্তিপন দাবী করেন।

পরবর্তীতে ভিকটিমের পিতা ও তার পরিবারের লোকজন রাজারহাট থানায় গত ১১ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ সাধারণ ডায়েরি করেন এবং প্রথম দিকে ভিকটিমের পরিবারের কাছে এটি সাজানো ঘটনা মনে হলে তারা কয়েকদিন অপেক্ষা করার পর ১৬ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ রাজারহাট থানায় অজ্ঞাত আসামীর বিরুদ্ধে অপহরন মামলা রুজু করেন।

অন্যদিকে রাজারহাট থানায় গত ১১ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ নিখোঁজ জিডি হওয়ার সাথে সাথেই তাৎক্ষণিকভাবে রাজারহাট থানার একটি চৌকস টিম অনুসন্ধান শুরু করে। ভিকটিমের বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ খবর নেওয়া সহ বিভিন্ন গোপন তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে তদন্তের মাধ্যমে অপহরণের সাথে জড়িতদের অবস্থান নিশ্চিত করে ১৬ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ ভোর আনুমানিক ০৪:০০ ঘটিকায় অপহরনের সাথে জরিত কুড়িগ্রাম সদরের কৃষ্ণপুর তালতলা গ্রামের মোঃ সোহেল রানা (২২) হাসপাতাল পাড়ার মোঃ মমিনুল ইসলাম (১৯) ও দক্ষিন হাসপাতাল পাড়ার ফেরদৌস প্রান্ত (১৯) কে কুড়িগ্রাম সদরের হাসপাতাল পাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করে রাজারহাট থানার একটি চৌকস টিম।

আসামীরা ও ভিকটিম পূর্বপরিচিতি এবং তারা বিগত কয়েকমাস প্রায়ই বিভিন্ন জায়গায় দেখা করতেন ও গল্প করতেন বলে অনেকেই ধারনা করছেন।

কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ রুহুল আমীন বলেন, ঘটনার সাথে জড়িত গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং এই বিষয়ে আমাদের তদন্ত চলমান রয়েছে ঘটনার সাথে আরো কেউ জড়িত থাকলে তাদের দ্রæত আইনের আওতায় আনা হবে। আমরা ঘটনার রহস্য ইতিমধ্যেই উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছি, বাকী তদন্ত দ্রুত শেষ হবে।