খাগড়াছড়ির জেলগেট থেকে সেনাবাহিনী কর্তৃক ইউপিডিএফ কর্মীকে পুনঃ আটক

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার জেলগেট থেকে সেনাবাহিনী কর্তৃক ইউপিডিএফ কর্মীকে পুনঃ আটক, অস্ত্র গুজে দিয়ে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। জেলাতে জেল থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়া বিধু ভূষণ চাকমা(৫৩) নামে ইউপিডিএফের এক কর্মীকে জেলগেট থেকে সেনাবাহিনী কর্তৃক পুনরায় আটক করে অস্ত্র গুজে দিয়ে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে ইউপিডিএফ’র মূখপাত্র ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। গতকাল বুধবার(১৯শে এপ্রিল ২০২৩) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।

ভূক্তভোগী বিধু ভূষণ চাকমার বাড়ি রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার বঙ্গলতলী ইউনিয়নের হাগালাছড়া গ্রামে। তার পিতার নাম প্রিয় রঞ্জন চাকমা।

জানা যায়, বিধু ভূষণ চাকমাকে বিগত ২০২১সালের ৩রা মার্চ দীঘিনালা হতে সেনাবাহিনী আটক করে। আটকের পর অস্ত্র আইনে এবং খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটির বিভিন্ন ঘটনায় জড়িত করে তার নামে বেশ কয়েকটি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায় দীর্ঘ দুই বছরের অধিক কারাভোগের পর আদালতের মাধ্যমে সব মামলার জামিন হলে গতকাল(বুধবার) বিকেল ৫টার সময় তিনি জেল থেকে মুক্তি পান। কিন্তু জেল থেকে বের হয়ে আসার পথে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সেনাবাহিনীর সদস্যরা জেলগেট থেকে তাকে পূনরায় আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যায়।

এরপর সন্ধ্যা ৬টার সময় সেনাবাহিনী তাকে অস্ত্র গুজে দিয়ে খাগড়াছড়ি সদর থানায় হস্তান্তর করে এবং তার বিরুদ্ধে আবারো অস্ত্র আইনে একটি মিথ্যা মামলা রুজু করা হয়। বৃহস্পতিবার(২০শে এপ্রিল) সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে পূনরায় জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, বিধু ভূষণ চাকমাকে জেলগেট থেকে আটকের পর ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে সেনাবাহিনী তাকে প্রতিপক্ষ নব্যমুখোশদের দলে যোগ দেয়ার শর্তে ছেড়ে দেয়ার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু এতে তিনি রাজি না হওয়ায় পরে সেনারা নিজেদের কাছে গচ্ছিত থাকা অস্ত্র গুজে দিয়ে তাকে থানায় হস্তান্তর করে।

ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ)’র প্রচার বিভাগের প্রধান নিরন চাকমা এহেন সাজানো ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। অন্যায়ভাবে আটকের কারাভোগের পর আবার সাজানো মামলা আটক করা বড় ধরনের অপরাধ। এভাবে উদ্দেশ্য প্রনোদিত ঘটনার আইনকে অপব্যবহার করা অমানবিক।

খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো: অরিফুর রহমান জানান, সেনাবাহিনীরা আবার আটক করে থানায় সোপর্দ করায় বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলাকারাগারে প্রেরন করা হয়েছে।