খাগড়াছড়িতে টানা বর্ষণে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা মানিকছড়ির তরমুজ চাষিদের

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার টানা বর্ষণে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা মানিকছড়ির তরমুজ চাষিদের। বুধবার থেকে টানা ভারী বৃষ্টিতে ক্ষতির মুখে পড়েছে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার গোরখানা, ছদুরখীল ও যোগ্যাছোলা এলাকার তরমুজ চাষিরা। তিন এলাকার ১০চাষী চলতি মৌসুমে মালচিং পদ্ধতিতে এক একর জমিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করেছেন। ইতিমধ্যে প্রতিটি খেতেই তরমুজের ফলন আসতে শুরু করেছে। তবে টানা বৃষ্টিতে ক্ষতির মুখে পড়েছে অধিকাংশ তরমুজ চাষি।

সরেজমিনে উপজেলার যোগ্যাছোলা ইউনিয়নের আছাদতলী এলাকার তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা মো: দিদারুল আলমের খেতে গিয়ে দেখা যায়, নিজ উদ্যোগে ২০শতাংশ জমিতে আগাম মুলা, ২০শতাংশ জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে গ্রীষ্মকালিন তরমুজ ও ৪০শতাংশ জমিতে কাঁকরোলের চাষ করেন তিনি। ভালো ফলনের আশায় ৪০হাজার টাকা বিনিয়োগ করে পরিচর্যাও করছিলেন। জমিগুলো নিচু হওয়ায় টানা বৃষ্টিতে ও পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে এসব ফসল। ফলে ক্ষতির মুখে পড়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, মুলা ও তরমুজ খেতের বেশি ক্ষতি হচ্ছে। থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ার কারণে পানি নিষ্কাশন করেও বিফল। কিছুদিনের মধ্যেই তরমুজের ফলন আসা শুরু করতো। পানি জমে থাকায় গাছগুলো মারা যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

এছাড়াও একই গোরখানার এলাকার খোরশেদ আলম ও শামসুল আলমসহ বেশ কয়েকজন তরমুজ ও মৌসুমি সবজি চাষিও ক্ষতি মুখে পড়েছেন। তবে দীর্ঘদিন পর এমন বৃষ্টি আমন চাষে বেশ উপকারে আসবে বলে জানান বৃষ্টি প্রত্যাশী আমন চাষিরা।

উপ—সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার নাথ বলেন, চলমান বৃষ্টি আমন চাষিদের জন্য আশীর্বাদ। তবে বৃষ্টি চলতে থাকলে তরমুজও মুলা চাষিরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বেন। তাদের দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।