খাগড়াছড়ির গুইমারায় জরুরী কাজে নানা দুভোর্গ

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা গুইমারা উপজেলায় প্রশাসনিক কর্মকান্ড পুর্নাঙ্গ বাস্তবায়ন না হওয়ায় জরুরী কাজে সাধারন মানুষের নানা দুভোর্গ। খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার প্রশাসনিক কর্মকান্ড পুর্নাঙ্গ বাস্তবায়নের দাবী উঠেছে। উপজেলা প্রতিষ্ঠার ৭বছরেও গড়ে উঠেনি উপজেলার পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম। ফায়ার সার্ভিস, হাসপাতাল, ভূমি অফিসের জরুরী সেবা নিতে হয় পাশ্ববর্তী উপজেলা থেকে।

গুইমারা উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) অফিসার না থাকায় ভূমি সংক্রান্ত নানা জটিলতায় পড়ে বিভিন্ন হয়রানির শিকার হচ্ছে অনেকে। ভুমি সমস্যা সমাধানের জন্য গুইমারাবাসীকে যেতে হয় পাশের উপজেলা মাটিরাঙ্গা কিংবা রামগড়ে।

সাস্প্রতি গুইমারা বাজার এলাকায় শিবু প্রসাদ ঘোষ ও শাহ আলমদের সাথে ভুমি বিরোধ নিয়ে আদালত থেকে তদন্তের জন্য মাটিরাঙ্গা সহকারী কমিশনার ভুমিকে দায়িত্ব দেওয়া হলেও অদ্যাবদি সে তদন্ত আলোর মুখ দেখা যায়নি।

অপরদিকে হাফছড়ি ইউনিয়নের ভূমি জটিলতা নিয়ে রামগড় উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমিকে তদন্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হলেও তদন্তের বিষয় নিয়ে বিভিন্ন জটিলতা বেড়ে চলেছে। নানান কারন দেখিয়ে সরজমিনে অনুপস্থিত আমিন, সার্ভেয়ার, কানুনগো ও সহকারী কমিশনার।
এলাকাবাসী জানান, গুইমারায় সহকারী কমিশনার ভুমি(এসিল্যান্ড) না থাকায় আদালত হতে পাশের উপজেলার সহকারী কমিশনার ভুমিকে বিভিন্ন তদন্তের দায়িত্ব দিয়ে থাকে কিন্তু তারা সময়মত তদন্ত না করায় জটিলতা বেড়ে যাচ্ছে।

এব্যাপারে গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তুষার আহমেদের নিকট গুইমারা উপজেলার অবকাঠামো এবং ভবন নির্মানসহ সকল কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গুইমারা উপজেলার জমি বরাদ্দে সরকার কর্তৃক ৬একর জায়গা হতে ১৭টি পরিবারকে ১৫কোটি ৬৮লক্ষ ৪৬হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়ে গত ১৪ই জুলাই ২০২০ইং তারিখে জায়গা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের ভবন নির্মান কাজ শুরু করা হয়েছে। গুইমারা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ও একটি বাড়ি একটি খামারের অফিস ভবন নির্মানের কাজ চলমান। সকল দপ্তরের জন্য জায়গা নির্দিষ্ট করা হচ্ছে, অন্যান্য দপ্তরের ভবন নির্মান কাজ শীঘ্রই শুরু হবে এবং আশাকরি উপজেলা কার্যালয় হতে সকল সেবা গুইমারাবাসী সুযোগ পাবে।