খাগড়াছড়ির ৯টি উপজেলায় আ.লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার ৯টি উপজেলাতে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে হয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠা বাষিকী।

করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসণরপূর্বক বর্ণিল কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মাটিরাঙ্গা উপজেলাসহ ৯টি উপজেলা যথাযথভাবে পালিত হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে বুধবার (২৩ জুন) সকালে জেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি রণ বিক্রম ত্রিপুরার নেতৃত্বে সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

পরে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি রণ বিক্রম ত্রিপুরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া, যুগ্ম সম্পাদক এ্যাড. আশুতোষ চাকমা, এমএ জব্বার, সংগঠনিক সম্পাদক পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক খোকনেশ্বর ত্রিপুরা, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শতরূপা চাকমা, দপ্তর সম্পাদক চন্দন কুমার দে, উপ-দপ্তর সম্পাদক সাংবাদিক নুরুল আজম, জেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক কেএম ইসমাইল হোসেন, জেলা ছাত্রলীগ আহবায়ক উবিক মোহন ত্রিপুরাসহ নেতাকর্মীরা।

আলোচনা সভায় রণ বিক্রম ত্রিপুরা বলেন, ‘অনেক সংগ্রাম ও ত্যাগের মধ্য দিয়ে আওয়ামীলীগ প্রতিষ্ঠা হয়েছে। তাই আওয়ামীলীগের দীর্ঘ পথচলার ইতিহাস জানতে হবে। তবেই রাজনৈতিক দূরদর্শীতা ও নেতৃত্বের সঠিক ধারণা পাওয়া যাবে।’
বিকৃত মিথ্যা ইতিহাস দিয়ে কখনো জনপ্রিয়তা অর্জন করা যায় না বলে মন্তব্য করে তিনি বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের ৭২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন।

এ সময় নেতাকর্মীদের করোনা প্রতিরোধে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের পরামর্শ দেন এই নেতা।

আওয়ামীলীগের গৌরবময় সাত দশকের ইতিহাস বাংলাদেশেরই ইতিহাস

আলোচনায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, ‘১৯৪৯সালের এই দিনে পুরনো ঢাকার ঐতিহ্যবাহী রোজ গার্ডেনে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিমলীগ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে এই রাজনৈতিক দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। আওয়ামীলীগের গৌরবময় সাত দশকের ইতিহাস বাংলাদেশেরই ইতিহাস। এ দেশের প্রতিটি গৌরবময় অর্জন আওয়ামীলীগের হাত ধরেই। ইতিহাসের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ধারাবাহিক আন্দোলনের পথ বেয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা, বাঙালি জাতি ও আওয়ামীলীগের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন।’

অন্যদিকে, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সচেতনতামূলকা লিফলেট ও মাস্ক বিতরণ করে খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রলীগ।
জেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক উবিক মোহন ত্রিপুরার নেতৃত্বে মাস্ক ও লিপলেট বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন, খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি রণ বিক্রম ত্রিপুরা।
এ সময় জেলা আওয়ামীলীগসহ অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী অংগ সংগঠনের নেতাকর্মীদের অংশগ্রহনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন ও কেক কাটার মধ্যে দিয়ে দিবসটির শুভ সূচনা করা হয়।

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গৌরব, ঐতিহ্য স্বাধীনতার ৭২বছর পূর্তি পালিত হয়েছে।
বুধবার (২৩ জুন) সকাল ৮টার দিকে মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে মাটিরাঙ্গা পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি হারুনুর রশিদ ফরাজী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম হুমায়ুন মোর্শেদ খান।
এসময় মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: রফিকুল ইসলাম, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য হিরণ জয় ত্রিপুরা, মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সুবাস চাকমা, মাটিরাঙ্গা পৌর যুবলীগের সভাপতি মো: মোশারফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো: আলাউদ্দিন আহামেদ, মাটিরাঙা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো: তসলিম উদ্দিন রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক মো: আবু তালেব ছাড়াও আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মাটিরাঙ্গা পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর মো: আলাউদ্দিন লিটন’র সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো: বাবুল আহমেদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

এর আগে ভোরে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠ নের নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন ও কেক কাটার মধ্যে দিয়ে দিবসটির শুভ সূচনা করা হয়।

পরে করোনা সংক্রমন রোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মাটিরাঙ্গার সর্বস্তরের জনসাধারণ, পরিবহন শ্রমিক ও পথচারীদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করেন নেতৃবৃন্দ।