জবির অর্থনীতি ক্যারিয়ার ক্লাব কর্তৃক মুদ্রানীতির উপর সেমিনার আয়োজন

মুদ্রানীতি হল একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য দেশের আর্থিক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত নীতি যা দেশের অর্থনীতিতে অর্থ সরবরাহ নিশ্চিত ও নিয়ন্ত্রণ করে। মুদ্রানীতি দেশের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে সুদের হার এবং অর্থ সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করে। একটি দেশের মুদ্রানীতি তার কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরিচালনা করে।

বাংলাদেশে এটি করে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক সামষ্টিক, অভ্যন্তরীণ এবং বৈশ্বিক অর্থনীতিক অবস্থা বিবেচনা করে এবং বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে ভবিষ্যৎ অর্থনীতিক অবস্থা অনুমান করে মুদ্রানীতি প্রণয়ন করে থাকে।তাই অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য বিয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই গুরুত্বের বিষয়টি মাথায় রেখে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি ক্যারিয়ার ক্লাব কর্তৃক মুদ্রানীতি নিয়ে ২২ মার্চের সকাল ৯:৩০ থেকে বিস্তারিত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।উক্ত আলোচনা সভায় মুদ্রানীতি নিয়ে মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর (রিসার্চ) ড. মোঃ এজাজুল ইসলাম।

এছাড়াও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোঃ আজম খান, জবিশিসের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ আইনুল ইসলাম ও অর্থনীতি বিভাগের অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা।উক্ত সভায় ড. মোঃ এজাজুল ইসলাম মুদ্রানীতি কি, কিভাবে পরিচালিত হয়,কি পদক্ষেপের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়,মুদ্রানীতি কিভাবে প্রভাব ফেলে এগুলো নিয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করেন।বিভাগটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোঃ আজম খান বলেন,”বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে আমার জ্ঞান শুধুমাত্র খাতা-কলমে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না, এগুলো বাস্তবজীবনে প্রয়োগ করতে হবে। অর্থনীতি বিভাগের জন্য বিয়টি আরো সত্য। ড. মো: এজাজুল ইসলাম এমন একজন যার হাত ধরেই মুদ্রানীতির একটা বড় অংশ সম্পন্ন হয়।তার কাছ থেকে আজকের আলোচনা থেকে পাওয়া বাস্তব জ্ঞান মুদ্রানীতির বিষয়গুলো সম্পর্কে সবার স্বচ্ছ ধারণা তৈরি হয়েছে বলে আমি মনে করি।

“অর্থনৈতিক উন্নয়ন বেগবান করার ক্ষেত্রে মুদ্রানীতি গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুষঙ্গ, বিশেষ করে আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য এটি অধিক প্রযোজ্য।এর মাধ্যমে আর্থিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ও তা অর্জনে কাজ করে।