ঠাকুরগাঁওয়ে হত্যা মামলায় এক যুবকের মৃত্যুদন্ড

ঠাকুরগাঁওয়ে হত্যা মামলায় মাফিজুল ইসলাম (২৩) নামে এক যুবকের মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রদান করা হয়।

বুধবার (২৭ জুলাই) ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ মামুনুর রশিদ ঐ আসামীর মৃত্যুদন্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ প্রদান করেন। তবে আসামি পলাতক রয়েছেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামি জেলার রানীশংকৈল উপজেলার বলিদ্বারা গ্রামের মৃত রিয়াজ আলীর ছেলে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, মাফিজুল ইসলাম একই গ্রামের দুলাল হোসেন (মামলার বাদী)’র স্ত্রী জোৎস্না বেগম (২০) এর সাথে জোরপূর্বক প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায়। কিন্তু এতে সারা না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ২০১২ সালে ২ সেপ্টেম্বর সন্ধায় ভিকটিমের বাড়িতে প্রবেশ করে ২ সন্তানের সামনে জোৎস্না বেগমকে এলোপাথারি চুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।

ঘটনাস্থলেই জোৎস্না বেগমের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তার স্বামী দুলাল হোসেন (২৭) ঐ দিন রাতেই রানীশংকৈল থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলী ছিলেন এ্যাড. শেখর কুমার রায়।

তিনি বলেন, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা ও নারীর প্রতি যে কোন ধরনের সহিংসতা বন্ধে এটি একটি যুগান্তকারী রায়। আদালত ৮৩/২০১৫ নং মামলায একমাত্র আসামী মাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে দন্ডবিধি ৩০২ ধারায় আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীত ও সন্তোষজনকরুপে প্রমাণিত হওয়ায় পেনাল কোডের ৩০২ ধারার বর্ণিত সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত এবং একই সাথে ১ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ প্রদান করেন।

রায়ে আরও উল্লেখ করা হয় মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদন সাপেক্ষে দন্ডিত আসামী মাফিজুল ইসলাম কে যতক্ষণ পর্যন্ত তার মৃত্যু না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যু দন্ডাদেশ কার্যকর করার জন্য এবং জরিমানার অর্থ আইন মোতাবেক আদায় করে ভিকটিমের সন্তানদের প্রদান করার জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।