নওগাঁয় ককটেল বিস্ফোরণে প্রায় দুই শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

নওগাঁয় ককটেল বিস্ফোরণ ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের অভিযোগে বিএনপির দুই শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এই মামলায় ২৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতপরিচয়ে আরও ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে বলে একটি গোপন সুত্রে পাওয়া যায়।

গত (২৯) অক্টোবর শনিবার রাত অনুমান ১০ টার দিকে আব্দুল গফুর রাসেল নামে এক ব্যক্তি নওগাঁ সদর থানায় মামলাটি করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আব্দুল গফুর নওগাঁ সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক। বর্তমানে তিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
রোববার সন্ধ্যায় নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শনিবার রাত ১০টার দিকে নওগাঁ শহরের তাজের মোড় এলাকায় তাজ সিনেমা হলের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ও একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

ওই ঘটনায় তিন জন আহত হন। গতকাল রাতে ওই ঘটনায় আব্দুল গফুর নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মামলা করেন। ওই রাতেই শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১২ জনকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিদের নতুন এই মামলায় আসামি দেখিয়ে রোববার আদালতের মাধ্যমে আজ সোমবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাতে শহরের সরিষাহাটির মোড়ে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে আজ রোববার বিকেলে শহরের মুক্তির মোড়ে শান্তি সমাবেশ সফল করার উদ্দেশে নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছিল। আলোচনা শেষে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন আব্দুল গফুর। এ সময় তার সঙ্গে দলের অন্য নেতাকর্মীরাও মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে শহরের তাজের মোড় এলাকায় তাজ সিনেমা হলের সামনে পৌঁছালে বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান।

পরে তাদের একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। মামলায় জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম ওরফে টুকু, জেলা যুবদলের সভাপতি মাসুদ হায়দার, সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন মুক্তার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক শফিউল আজম, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি জাকারিয়া হোসেন রোমিও, সাধারণ সম্পাদক মামুন বিন ইসলাম দোহাসহ ২৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আরও ২০০ থেকে ২৫০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয়ে আসামি করা হয়েছে।