নরসিংদীতে মাধবদীতে পৃথক স্থানে গৃহবধূসহ দুইজনের মরদেহ উদ্ধার

নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদীর পৃথক স্থান থেকে গৃহবধূসহ দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার মাধবদী পৌর এলাকার বিরামপুরে এক কিশোরের ও নুরালাপুর ইউনিয়নের কালিবাড়ি এলাকার নিজ বাসা থেকে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ কামরজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হলেন, মাধবদীর উত্তর বিরামপুর এলাকার লুৎফর মিয়ার ছেলে মুন্না (১৮) ও কালিবাড়ি এলাকার প্রবাসী জুবায়ের এর স্ত্রী রিয়া মণি (১৮)।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে অকৃতকার্য হয় মুন্না। পরে সে পাইপ ফিটিং এর কাজ করতো। পরীক্ষায় ফেল করায় প্রায় সময়ই তার মন খারাপ থাকতো। তার বাবা ও মা স্থানীয় টেক্সাইল মিলে চাকুরী করেন। সকালে মা বাড়িতে এসে দেখেন রমের দরজা বন্ধ। পরে জানালা দিয়ে দেখতে পান ঘরের সিলিং এর সাথে মুন্নার দেহ ঝুলছে। তখন তার ডাক-চিৎকারে প্রতিবেশীরা রমের দরজা ভেঙে মরদেহ নামানোর পর খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে।

অপরদিকে সকালে কালিবাড়ি এলাকায় এক সন্তানের জননী রিয়া মণির রমের দরজা বন্ধ থাকতে দেখেন শশুররবাড়ির লোকজন। সে বাইরে না আসায় ঘরে গিয়ে দেখে ধরনার সাথে ওড়না পেঁচানো রিয়ামনির মরদেহ ঝুলছে। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহত রিয়ামণির পিতা আব্দুল হালিম বলেন, আমার মেয়েকে শ্বাশুরী ও ননদ মিলে মেরে ফেলেছে। তারা আমার মেয়েকে নানাভাবে নির্যাতন করতো। তারাই আমার মেয়ের মৃত্যুর জন্য দায়ী।

মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ কামরজ্জামান বলেন, পৃথক স্থান থেকে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পওয়ার পর বলা যাবে এগুলো হত্যা না আত্মহত্যা। এ ঘটনায় আইনানুগ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।