পঞ্চগড়ে বিএনপি বিরুদ্ধে পুলিশের পৃথক ৫টি মামলায় গ্রেফতার-৮

পঞ্চগড়ে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি কেন্দ্রীয় ঘোষিত গণমিছিলে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় স্থানীয় জেলা বিএনপি ৮ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে সদর থানার পুলিশ।

গণমিছিলে নাশকতা সৃষ্টিসহ পুলিশের উপর হামলা, সরকারি কাজে বাঁধা, ককটেল বিস্ফরোক হামলাসহ পৃথক ৫টি মামলা বাদী হয়ে দায়ের করেছে পুলিশ।

এদিকে ঘটনার দিবাগত রাতে পুলিশের বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে পঞ্চগড় জেলা ৫টি উপজেলা থেকে বিএনপি ও জামাতে ইসলাম এর ৮ জন নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে মামলার বিষয়টি সময়ের আলোর প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেন পঞ্চগড় জেলা পুলিশ সুপার (এস পি) এস,এম সিরাজুল হুদা। পুলিশ সুপার আরও জানান, গত শনিবার বিকেলে বিএনপি’র নেতাকর্মীরা গণমিছিল নিয়ে শহরে প্রবেশ করে পঞ্চগড় জেলা বিএনপি প্রধান কার্যালয় হতে সংর্ঘবদ্ধ হয়ে তারা মিছিল নিয়ে বের হয়ে নাশকতা সৃষ্টি করার চেষ্টা চালায়। প্রথমে পুলিশ তাদেরকে শান্তি প্রিয় ভাবে মিছিল পরিচালনা করার কথা বললে তার বাধা দিতে গিলে তারা পুলিশের উপর হামলা চালায় এবং তারা ক্ষিপ্ত হয়ে মহাসড়কে টায়ার জালিয়ে ইটপাটকেল ছোড়তে থাকে ও এলাকায় বিশৃক্সখলা সৃষ্টি করে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে যায় এ ঘটনায় ১০ থেকে ১২ জন পুলিশ ও বিএনপির ২০ থেকে ২৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়।

গতকালের ঘটনায় মৃত আব্দুর রশিদ আরফিন এর বিষয় জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, যে ব্যক্তি মৃত্যু হয়েছে তিনি একজন হার্টের তিনটি বাইপাস সার্জারী করা রোগী ছিলেন। তিনি পুলিশের টিয়াশেল বা রাবার গুলিতে নয়, ময়নাতদন্ত শেষে সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ রফিকুল হাসান তিনি জানান তার স্ট্রকে মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশৃক্সখলা পরিবেশ সৃষ্টি করে বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।

সংঘর্ষের ঘটনায় সিসি টিভি ফুটেজ, গোয়েন্দা রির্পোটের ভিত্তিতে ৮১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১১ থেকে ১২ শত জনকে অজ্ঞাত রেখে ৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিষেশ অভিযানে ৮জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় অন্য কোন নির্দোষ সাধারণ মানুষকে গ্রেফতার করা হবে না বলে জানান তিনি। শনিবার বিকেলে পঞ্চগড় শহরে পুলিশ-বিএনপির সংঘর্ষ বাধলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। প্রায় আড়াই ঘন্টার অধিক সময় পর পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আসে পুরো এলাকা। এ ঘটনায় পুলিশ-বিএনপির প্রায় অর্ধশতাধীক নেতাকর্মী আহত হয়েছে এবং একজন নিহত হয়।