পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় কৃষকরা ড্রাগন তরমুজ চাষ করে ফলন পেলেন বলের

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় স্থানীয় ডিলারের কাছ থেকে সিনজেনটা কোম্পানির ড্রাগন তরমুজ বীজ কিনে ব্যপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে মানব বন্ধন করেছে ভুক্তভোগী চাষিরা।

বৃহষ্পতিবার (২৩ মার্চ) সকালে উপজেলার ধানখালী ইউপির লোন্দা গ্রামের এই কর্মসূচিতে ভুক্তভোগী কৃষক পরিবারের শতাধিক নারী পুরুষ ও শিশুরা অংশ গ্রহন করে। এসময় কৃষকরা জানান, স্থানীয় সিনজেনটা ডিলারের মাধ্যমে ৩ হাজার টাকা দরে ড্রাগন জাতের বীজ প্যাকেট ক্রয় করে ক্ষেতে বপন করেছে প্রায় অর্ধশতাধিক তরমুজ চাষি। তবে ড্রাগন বীজ বপন করলেও কৃষকের ক্ষেতে ছোট ছোট বিভিন্ন জাতের বলের মত তরমুজের ফলন হয়েছে। যা বাজারজাত করতে পারেনি কোন কৃষকরা। ফলে ড্রাগন তরমুজ চাষীদের প্রায় অর্ধকোটি টাকার লোকশান হয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

এদিকে মানবন্ধনে অংশগ্রহনকারী তরমুজ চাষি সাইফুল ইসলাম জানান, স্থানীয় সিনজেনটা কোম্পানির ডিলার রাসেলের কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা দরে ড্রাগন তরমুজের বীজ ক্রয় করে সাড়ে তিন কানি জমিতে তরমুজের চাষ করেছেন। তবে গাছে ফলন ধরলে চমকে ওঠেন তিনি। বর্তমানে তার ক্ষেতে ছোট বলের মত বিভিন্ন জাতের তরমুজের ফলন হয়েছে। যা খাবার উপযোগী নয়। ফলে বাজারজাত করতে পারেননি।

একই অভিযোগ কহিনুর বেগমের। তিনি বলেন, ওই কোম্পানির বীজ কিনে এক একর জমিতে ড্রাগন তরমুজের আবাদ করে ফলন পেয়েছেন ভিন্ন। এখন কান্না ছাড়া কোন উপায়ে নেই তার। এমন অভিযোগ,চাষি ঝুমা আক্তার,রাজ্জাক হাওলাদার, আলমগীর, সবুজ, হানিফ, মোশারেফ, কালাম, মাহাবুব, খবিরসহ প্রায় অর্ধশতাধিক কৃষকের।

এবিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা সিনজেনটা কোম্পানির ডিলার মো. সোহাগ জানান, স্থানীয় ডিলার রাসেলকে ৭ কেজি ড্রাগন বীজ দিয়েছেন তিনি। কিন্তু অতিরিক্ত বীজ কিভাবে বিক্রি করেছেন তা তার জানা নেই। এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এআরএম সাইফুল্লাহ জানান, কৃষকদের মাধ্যমে অভিযোগ পেয়েছি। মাঠপর্যায়ে তদন্ত করে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।