বরিশাল ঝালকাঠিতে মুসলিম শিক্ষকবিহীন প্রায় ১৫ বছর যাবত চলছে পাঠদান

ঝালকাঠির শ্রীমন্তকাঠি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মুসলিম শিক্ষকবিহীন প্রায় ১৫ বছর যাবত চলছে একাডেমিক পাঠদান। ইসলাম ধর্মশিক্ষা ক্লাসবিহীন প্রতিষ্ঠানটি চলছে যুগের পর যুগ। বর্তমানে ১৯৭ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় ১০০ জন শিক্ষার্থী মুসলিম থাকা সত্ত্বেও ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষক রাখছে না এলাকার প্রভাবশালী কিছু হিন্দু নেতা।

এলাকাবাসি জানান, এক যুগেরও বেশী সময় ধরে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিন্দু ধর্মাম্বলী হওয়ায় মুসলিম শিক্ষক যোগদান করতে দিচ্ছেন না ওই প্রতিষ্ঠানে। গত ১৪ জুন ২০২২ তারিখ ঝালকাঠি সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার খোন্দকার জসিম আহমেদ এক অফিস আদেশে ঝালকাঠি সদর উপজেলার শ্রীমন্তকাঠি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ৬ জন শিক্ষকের মধ্যে কোন মুসলিম শিক্ষক কর্মরত না থাকায় মুসলিম শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে বিধায় ঝালকাঠি সদর উপজেলার বংকুরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খাদিজা খানমকে শ্রীমন্তকাঠি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। যার স্মারক নং- ৫৫৪/৪, তারিখ: ১৪/০৬/২০২২খ্রি:। কিন্তু খাদিজা খানম এই অফিস আদেশ পেয়েও যোগদান করেন নাই নতুন কর্মস্থলে।

এ বিষয়ে ঝালকাঠি সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার খোন্দকার জসিম আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, “বংকুরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খাদিজা খানম নতুন কর্মস্থলে যোগদান করলে তার স্কুলটি মুসলিম শিক্ষক শুন্য হয়ে পড়ে বিধায় তার অফিস আদেশ স্থগিত করা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন প্রায় ৩ বছর যাবত বদলি আদেশ বন্ধ থাকায় নতুন শিক্ষক দেয়া সম্ভব হয় নাই। তবে নতুন মুসলিম শিক্ষক দেয়ার চেস্টা চালাচ্ছি।”

শ্রীমন্তকাঠি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত প্রধান শিক্ষক কল্পনা ইন্দু জানান, “আমি যোগদান করার পর কোন মুসলিম শিক্ষক পাই নাই। প্রায় ১০০ জন শিক্ষার্থী ইমলাম ধর্ম শিক্ষা হতে বঞ্চিত হচ্ছে। স্কুলে ১ জন মুসলিম শিক্ষক জরুরীভাবে প্রয়োজন। ” বংকুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খাদিজা খানমের মুঠোফোনে ফোন দিয়ে শ্রীমন্তকাঠি সরকারি বিদ্যালয়ে বদলীর আদেশ থাকা সত্বেও কেনো যোগদান করেননি জানতে চাইলে তিনি ব্যস্ত আছি বলে ফোনের লাইন কেটে দেন।