বাগেরহাটের শরণখোলায় ৯ বছরের শিশুকে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ

বাগেরহাটের শরণখোলায় আব্দুল্লাহ (৯) নামের মাদ্রাসা পড়ুয়া এক শিশুকে শারিরীক ও মানুষিক নির্যাতন সহ খাবার না দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিষ্ঠান মালিকের বিরুদ্ধে। আহত শিশুটিকে শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ২০ জুন উপজেলার কদমতলা গ্রামের দারুল কুরআন হিফজুল মাদ্রাসায়।

ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানায়, গত এক বছরের বেশি সময় ধরে উপজেলার কদমতলা গ্রামের দারুল কুরআন হিফজুল মাদ্রাসায় তার ছেলে পড়াশুনা করে আসছিল। গত তিনমাস আগে ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক কাম পরিচালক মোঃ জামাল হোসেনের দুই হাজার পাঁচশ টাকা পকেট থেকে খোয়া যায়। এ টাকা ওই শিশুটি চুরি করেছে এমন অভিযোগ এনে উপজেলা রাজেস্বর গ্রামের মিরাজ গোলদারের পুত্র ওই মাদ্রাসার ছাত্র আব্দুল্লাহ কে গত তিন দিন ধরে একটি ঘরের মধ্যে আটকে রাখে এবং তাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে।

এছাড়া খাবার না দেয়া সহ মানুষিক ভাবে নির্যাতন করে জামাল শরীফ। পরে লোক মারফত বিষয়টি জেনে গত ২০ জুন সন্ধ্যায় ওই মাদ্রাসায় গিয়ে তার ছেলে আব্দুল্লাহ কে উদ্ধার করে শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আব্দুল্লার মা নাসিমা বেগম এ ঘটনায় শরণখোলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এ ব্যাপারে রায়েন্দা সদর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ জালাল আহম্মদ রুমি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন তিনি আহত শিশুটিকে দেখেছেন এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরমর্শ দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে ওই মাদ্রাসা পরিচালক ও মালিক মোঃ জামাল হোসেন মারধর ও নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, তাকে আটকিয়ে রাখা হয়নি বরং চুরি যাওয়া টাকার কথা শিশুটি স্বীকার করেছে।

এ ব্যাপারে শরণখোলা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকরাম হোসেন বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে, তদন্ত সাপেক্ষে সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।