বার্ষিক আয় কমেছে সমাজকল্যাণমন্ত্রীর

লালমনিরহাট -২ (কালীগঞ্জ- আদিতমারী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এমপির গত ৫ বছরে জমির পরিমান না বাড়লেও কমেছে আয়ের পরিমাণ। তবে বেড়েছে ব্যাংক জমা। একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার প্রার্থী হলফনামা থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীর হলফনামা মতে, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের বর্তমান বার্ষিক আয় মোট ৩২ লক্ষ ৬ হাজার ৪ শত ৬ টাকা। তবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার হলফনামায় তৎকালীন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ দাবি করেছেন, তখন তার বার্ষিক আয় ছিলো, ৩৪ লক্ষ ৩৫ হাজার ৮শত ৫৫ টাকা। প্রতিমন্ত্রী থেকে পুর্ণ মন্ত্রী হলেও গত ৫ বছরে নুরুজ্জামান আহমেদের বার্ষিক আয় কমেছে ২ লক্ষ ২৯ হাজার ৪ শত ৪৯ টাকা।

বেগম রোকেয়া পদক পাচ্ছেন ৫ নারী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীর হলফনামায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ উল্লেখ্য করেন, পৈত্রিক সুত্রে তিনি ২৫ বিঘা কৃষি জমির মালিক যার মূল্য ৩১ হাজার ৫ শত টাকা, ২০ শতক অকৃষি জমির মালিক যার মূল্য ৭ লক্ষ টাকা এবং ৩৫ বিঘা চা বাগান, রাবার বাগান ও মৎস খামারের মালিক যার মূল্য ৭০ হাজার টাকা। এ ছাড়া ঢাকায় একটি প্লটের মালিক যার মুল্য ৩০ লক্ষ টাকা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার হলফনামায় জমির পরিমাণ একই ছিলো।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হলফনামায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ দাবি করেন, তার কাছে নগদ অর্থ রয়েছে ৯৫ লক্ষ ৭৮ হাজার ২শত ৫৪ টাকা আর ব্যাংকে জমা আছে ২ কোটি ১৪ লক্ষ ৪ হাজার ৯ শত ৯৭ টাকা। এ ছাড়া স্থায়ী আমানত হিসেবে ব্যাংকে জমা আছে ২০ লক্ষ টাকা। তবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার ব্যাংক জমা ছিলো ১ কোটি ৪ লক্ষ ৪৭ হাজার ৫ শত ৮৩ টাকা তবে স্থায়ী আমাতন নাই বলে উল্লেখ্য ছিলো ওই হলফনামায়।

মনোনয়ন পত্রের সাথে জমা দেয়া হলফনামায় দেখা যায়, ৫ বছর আগে মন্ত্রীর কৃষি খাত থেকে বার্ষিক আয় ১ লক্ষ ৩৫ হাজার ৫ শত টাকা হলেও এখন আয় হচ্ছে ২ লক্ষ ৪৯ হাজার ৬ শত টাকা। দোকান বা বাড়ি ভাড়ায় ৯২ হাজার থেকে বাড়িয়ে এখন আয় হচ্ছে ১ লক্ষ ১৬ হাজার ৯ শত টাকা। তবে বর্তমানে ব্যাংকের আমানত থেকে তার বার্ষিক আয় ৮ লক্ষ ৫৪ হাজার ৯০৬ টাকা উল্লেখ্য থাকলেও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার হলফনামায় ওই আয় ছিলো না।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার হলফনামায় মৎস খামার থেকে বার্ষিক আয় ১৩ লক্ষ ৫৭ হাজার ৫শত ৬০ টাকা উল্লেখ থাকলেও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হলফনামায় মৎস খামার থেকে বার্ষিক আয় উল্লেখ নেই।