ময়মনসিংহে ট্রেন থেকে পড়ে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরল রাজীব

ময়মনসিংহ থেকে ট্রেনযোগে জামালপুরে শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছিলেন আতিকুর রহমান খান রাজীব (২৭)। পথিমধ্যে জামালপুরের নান্দিনা স্টেশনের কাছাকাছি এসে ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু হয় তার।

মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে গত শুক্রবার রাতে। খবর পেয়ে রেলওয়ে পুলিশ ওই দিন রাতেই রাজীবের মরদেহ উদ্ধার করে। স্বজনরা মরদেহ শনাক্তের পর শনিবার রাজীবের মরদেহ জামালপুর থেকে নিজ বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুরে নিয়ে আসা হয়।

নিহত রাজীবের বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার শালীহর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মমিনুল ইসলাম খানের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আতিকুর রহমান রাজীব একটি বেসরকারি কোম্পানিতে টেকনিক্যাল সার্ভিস অফিসার হিসাবে নাটোর জেলায় কর্মরত ছিলেন। নাটোর থেকে ঢাকায় এসে গত শুক্রবার একটি সরকারি নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেন রাজীব। পরে ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ ফিরে ওইদিন রাতে ময়মনসিংহ রেলস্টেশন থেকে আন্তঃনগর যমুনা এক্সপ্রেসে ট্রেনযোগে জামালপুর শ্বশুরবাড়ির পথে রওনা হন। পথিমধ্যে ট্রেনটি জামালপুরের নান্দিনা স্টেশনের কাছাকাছি আসতেই ট্রেন থেকে পড়ে তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ওইদিন রাতেই মরদেহ উদ্ধার করে। পরের দিন শনিবার পুলিশ রাজীবের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করলে মরদেহ গৌরীপুরে নিজ বাড়িতে বাড়ি নিয়ে আসা হয়।

এদিকে রাজীবের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসার পরপরই শোকের মাতম। স্বজনদের কান্নায় ভারি হয়ে উঠে বাড়ির পরিবেশ। শনিবার বাদ আছর শালীহর গ্রামে জানাজা শেষে রাজীবের মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
রাজীবের বড় ভাই দৌলত খান সোহাগ বলেন, আমার ভাই বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৮ সালে স্নাতক ও ২০১৯ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছে। রাজীব ভালো সরকারি চাকরির আশায় বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতো। গত শুক্রবার রাজীব ঢাকায় একটি সরকারি নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শ্বশুরবাড়ি ফিরছিল। এরমধ্যেই তার মৃত্যুর সংবাদ পাই।
রাজীবের চাচা আবু সায়েম রাসেল বলেন, রাজীবের মৃত্যু দুর্ঘটনা নাকি ইচ্ছাকৃত কোন ষড়যন্ত্র এটাতো আমরা জানিনা। রাজীবকে মৃত অবস্থায় রেললাইনের পাশ থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে। আর আমাদের কোন অভিযোগও নেই।

জামালপুর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির (এসআই) তারা মিয়া বলেন, রাজীবের মৃত্যুর ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ না থাকায় মরদেহ বিনাময়না তদন্তে হস্তান্তর করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এটা দুর্ঘটনা।