ময়মনসিংহের ত্রিশালে পাঁকা ব্রিজে বাঁশের রেলিং!

ময়মনসিংহের ত্রিশালে ব্রিজের ভাঙা অংশে দূর্ঘটনা এড়াতে সাঁটানো হয়েছে বাঁশের কৃত্রিম রেলিং।
এমন অভিনব রেলিং সাঁটিয়ে দূর্ঘটনা রোধের চেষ্টা চালাতে দেখা যায় উপজেলার উকিলবাড়ী কেবিআই রাস্তা ভায়া দড়িকাঁঠাল রাস্তার বইলর এবং কাঠাল ইউনিয়নের সংযোগস্থলে বাঘের বাজারের পাগারিয়া নদীর উপর স্থাপিত এই ব্রিজটি।

প্রায় দুই যুগ আগে নির্মিত এই ব্রিজটির রেলিং ভেঙে চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে বেশ কয়েকবছর হলো। এই ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজের উপর দিয়েই ছোট ছোট যানবাহন সহ এলাকার লোকজন চলাচল করছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে।

এই এলাকার হাজারো লোকের চলাচলের জন্য নির্মিত এই ব্রিজের এমন বেহাল দশায় নেই কোন কার্যকরী পদক্ষেপ। এলাকাবাসীর দাবি এই ব্রিজটি নতুন করে নির্মাণ করা হউক।

এই ব্রিজ দিয়ে চলাচলকারী অটোরিকশা চালক আকরাম জানান, অটো চালিয়ে এই ব্রিজ পাড়ি দিতে ভয় লাগে। মনে হয় এই বুঝি নিচে পড়লাম। বাঁশের রেলিং থাকায় ব্রিজ পাড়ি দিতে কিছুটা সাহস পাই।
কাঠাল ইউনিয়নের বাঘের বাজারের চা দোকানী আব্দুল হামিদ জানান, প্রায় ৪ বছর আগে এই ব্রিজের কাজের জন্য মাটি পরীক্ষা করা হয়েছিল কিন্তু এখনো ব্রিজের কাজ শুরু হয়নি।

বইলর ইউনিয়নের বাসিন্দা আজিজুল হক বলেন, প্রায় দুই যুগ আগে নির্মিত এই ব্রিজটির রেলিং ভেঙে প্রায় ৫ বছর যাবত ঝুঁকিপূর্ণ যানবাহন চলাচল করছে। এই ব্রিজটি আমাদের দুই ইউনিয়নের সংযোগস্থল। হাজার হাজার লোকজন চলাচল করে এই রাস্তায়।

বইলর ইউনিয়নের বাসিন্দা বাঘের বাজারের মুদি দোকানী আবু তাহের জানান, আমরা স্থানীয়ভাবে দূর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে বাঁশের রেলিং বেঁধে দিয়েছি। প্রায় ৫ বছর এভাবেই চলছে। এখানে দূর্ঘটনার শিকার হয়ে অনেকেই আহত হয়েছেন। ব্রিজটি আমাদের জন্য গলার কাটা হয়ে বিঁধে রয়েছে।

কাঁঠাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন কামাল তার নিজ ওয়ার্ডের লোকজনের চলাচলের জন্য এমন বেহাল ব্রিজ সম্পর্কে অবগত নয় বলে জানান।

ত্রিশাল উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান বলেন ব্যক্তিগতভাবে আমি ঐ রাস্তার উপর নির্মিত ব্রিজটি সম্পর্কে অবগত নই। যেহেতু স্থানীয়রা জানিয়েছে কয়েকবছর আগে সয়েল টেস্ট করা হয়েছে তাই এই ব্রিজের জন্য মনে হয় প্রপোজাল পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন সাপেক্ষে কাজ শুরু করা হবে।