যশোরের রাজগঞ্জের খেজুরের গুড় যাচ্ছে দেশ-বিদেশে

যশোরের যশ, খেজুরের রস’- এই যশ মূলত যশোরের রাজগঞ্জের খেজুরের গুড়ের কারণে। এই খেজুরের গুড় এখন প্লাস্টিকের ড্রামভর্তি হয়ে চলে যাচ্ছে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে। প্রতি বছর শীতের মৌসুমে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যাপারীরা ছুটে আসে রাজগঞ্জ বাজারে গুড় কিনতে। তারা স্থানীয় বাজার ঘুরে গাছিদের কাছ থেকে শত শত ভাঁড় গুড় ক্রয় করেন। সেই গুড় ড্রামে ভর্তি করে নিয়ে যান নিজ এলাকায়। একই প্রক্রিয়ায় রাজগঞ্জ এলাকার গুড় যাচ্ছে বিদেশেও।

জানা গেছে, প্রতি সপ্তাহে দুইদিন সোমবার ও বৃহস্পতিবার রাজগঞ্জ বাজারে গুড়ের হাট বসে। এ হাটে গুড় বেচাকেনা বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে শেষ হয়ে যায়। পশ্চিম মনিরামপুরে একটিমাত্র গুড়ের হাট রাজগঞ্জ বাজার। এই হাটে রাজগঞ্জের গাছিরা তাদের তৈরি করা খেজুর গুড় বিক্রি করতে আসে। দামও ভালো পাই এই হাটে। এ বাজার থেকে গুড় কিনতে ব্যাপারীরা হাটবারের আগের দিন এসে এলাকায় অবস্থান নেয়। হাট বারের দিন সকাল সকাল হাজির হয় পাইকারি ব্যাপারীর দল। প্রতিটি তরল গুড়ের ভাঁড় ১৬শ’ থেকে ১৮শ’ টাকা ও শুকনো গুড়ের বড় ভাঁড় ২ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে রাজগঞ্জ বাজারে।

সোমবার রাজগঞ্জ হাটে সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতি ভাঁড় গুড়ের দাম ১৬শ’ থেকে ১৮শ’ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। ব্যাপারীরা গুড়ের ভাঁড় কিনে সারিবদ্ধভাবে সাজিয়ে রেখেছে। কেনাবেচা শেষে ব্যাপারীরা সব ভাঁড় থেকে গুড় ঢেলে ড্রাম ভর্তি করে গাড়ীতে করে নিয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এরপর এসব গুড় দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও পাঠানো হচ্ছে।

আফজাল হোসেন নামের একজন গুড়ের ব্যাপারী জানান, মাটির ভাঁড়ে গুড় বহন করা ঝুঁকি হওয়ায়, নিরাপদে বহনের জন্য প্লাস্টিকের ড্রাম ব্যবহার করা হচ্ছে। ড্রামে গুড় বহন করলে নিশ্চিন্তে পিকআপ কিংবা ট্রাক গাড়িতে করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে যেতে পারি।