রংপুরে থানায় অভিযোগ দেয়ায় শিক্ষককে মারধর, আহত-২

রংপুরের মিঠাপুকুরে সুপারি গাছ কর্তনের অভিযোগে পুলিশ ঘটনাস্থলে তদন্তে গেলে এক মাদ্রাসা শিক্ষক ও তার পরিবারের লোকজনকে বেধড়ক পিটিয়েছে অভিযুক্তরা। এতে ঐ শিক্ষকের হাত ভেঙে দেওয়াসহ তার শ্যালকের মাথায় আঘাত করলে তার শ্যালকের মাথা ফেটে এবং কান কেটে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় দু’জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, মিঠাপুকুর উপজেলার ০৭ নং লতিবপুর ইউনিয়নের মামুদপুর পূর্বপাড়া গ্রামের ময়েনপুর বাতাসন মাদ্রাসার সহ-সুপার মোঃ সাইফুল ইসলামের সাথে তার ভাই সাইয়েদুল ইসলাম, আনারুল ইসলাম, ভাতিজা মাইনুল ইসলামের দীর্ঘদিন থেকে জায়গাজমি সংক্রান্ত বিরোধ চলিয়া আসছিলো। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সাইয়েদুল ইসলাম, আনারুল ইসলাম, মাইনুল ইসলাম গত মঙ্গলবার (২৯- আগষ্ট) ভুক্তভোগী সাইফুলের সুপারির গাছ কর্তন করে। সুপারির গাছ কর্তনের কারণে সাইফুল ইসলাম, বাদী হয়ে মিঠাপুকুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের তদন্তের জন্য মিঠাপুকুর থানা পুলিশের এএসআই- রেজাউল ইসলাম ঘটনাস্থলে গেলে বিবাদীরা সাইফুল ইসলামের উপর চড়াও হন এবং পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আসার পর সাইফুল ইসলাম এবং তার স্ত্রীকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন।

সাইফুল ইসলাম,ভয়ে তার নিকটস্থ শ্বশুর বাড়ি নিঝাল গ্রামে গেলে শ্বশুর বাড়ির লোকজন স্থানীয় ইউপি সদস্য এবং পুলিশের সহায়তায় বিবাদীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করে বুধবার (৩০-আগষ্ট) রাত আনুমানিক ১২.৩০ মিনিটে তার শ্যালক মুজাহিদদের সহযোগিতায় নিজ বাড়িতে পৌঁছামাত্র অভিযুক্ত সাইয়েদুল, আনারুল, মাইনুল,পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তাদের উপর দেশীয় ছোরা,লোহার রড,বাঁশের লাঠি দিয়ে হামলা চালায়। এতে মুজাহিদের মাথা ফেটে যায় এবং কান কেটে যায়। সাইফুল ইসলামের হাত ভেঙে দেওয়া হয়। স্হানীয়দের সহযোগিতায় গুরুতর আহত অবস্থায় সাইফুল ইসলাম এবং মোজাহিদকে মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষক সাইফুল ইসলাম জানান, আমার হাত ভেঙে দিয়েছে। আমাকে বাঁচাতে গিয়ে আমার শ্যালক হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। এ ঘটনায় মিঠাপুকুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হলেও এখনো মামলা রেকর্ড কিংবা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়নি। এ বিষয়ে মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান জানান,মামলা যোগ্য অপরাধ হলে অবশ্যই মামলা হবে। তদন্ত চলছে। অভিযুক্তরা পলাতক থাকায় তাদের কারো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।