লালমনিরহাটের প্রতিবন্ধী জাহাঙ্গীর ভিক্ষা ছেড়ে এখন রিকশা চালান

ভিক্ষার ঝুলি ফেলে নিজেই উপার্জনের পথ করে নিয়েছেন পঙ্গু জাহাঙ্গীর হোসেন (৪২)। নিজের চেষ্টায় জয় করেছেন শারীরিক অক্ষমতাকে। সম্মানজনক উপার্জনে অন্তত দু’বেলা খাবার জুটছে তাঁর পরিবারের সদস্যদের।

জাহাঙ্গীর হোসেনের বাড়ি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার চলবলা ইউনিয়নের খালিশা বারাজান এলাকায়। তাকে পেটের তাগিদে এখন আর ভাঙ্গা হুইল রিকশা নিয়ে ভিক্ষার জন্য রাস্তায় নামতে হচ্ছে না। সমাজের লোকদের কাছে আর ভিক্ষা চাইতে হয় না তার। শুনতে হয় না কারও গালমন্দ। ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালিয়ে সংসারের আয়ের যোগান হওয়া পঙ্গু জাহাঙ্গীর হোসেন স্বপ্ন দেখছেন এখন ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার। সহকর্মীদেরকে ভিক্ষা না করার জন্য নিরুউৎসাহ করছেন তিনি।

জানা গেছে, জাহাঙ্গীর হোসেন জন্মের পর থেকেই দুই পা অচল। শক্তি নেই দুই পায়ের। হতদরিদ্র সংসারে তার জন্ম হওয়ায় তেমন চিকিৎসা করার সুযোগ হয়নি জাহাঙ্গীরের পরিবারের। প্রতিবন্ধী অফিস থেকে দেয়া একটি হুইল চেয়ার ছিল তার সম্বল। কোন রকমে হুইল চেয়ার ভর করে চলাফেরা করতেন তিনি। বিয়ের পর সংসারের হাল ধরতে শুরু করেন ভিক্ষাবৃত্ত। জাহাঙ্গীরের দুই ছেলে, দুই মেয়ে রয়েছে। অভাবের সংসারে ছেলে-মেয়েরা খেয়ে না খেয়ে কষ্টে বড় হচ্ছে।

জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ভিক্ষা আর করবো না। যে কয়েকদিন বেঁচে থাকবো ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালাবো। খুজি খাওয়ার চেয়ে নিজে রোজগার করাই ভাল। অটোরিকশা চালিয়ে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ শত টাকা কামাই হচ্ছে। তবে ভাল একটি অটোরিকশা কেউ দান করলে আরো বেশি কামাই হবে।