লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণ; ৫লক্ষ টাকায় রফাদফা

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ১১ বছরের এক প্রতিবন্ধী শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে বাস কাউন্টার ম্যানেজার শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ৫ লক্ষ টাকা দিয়ে আপোষ মিমাংসা করা হয়েছে। দরিদ্র পরিবারের মেয়ে হওয়ায় প্রভাবশালীদের চাপে মীমাংসা করতে বাধ্য হয় অসহায় পরিবারটি। তবে তাদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।রফাদফার অংশের টাকা প্রতিটি মহলের মাঝে ভাগ বাটোয়ারা হয়েছে বলে জানা গেছে।

গতকাল ১৫ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে অভিযুক্ত সফিকুল প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে নানা প্রলোভনে ফুঁসলে তার বাড়িতে নিয়ে ধর্ষন করেছেন। মেয়ের বাচ্চা প্রসব হওয়ায় তার পরিবারের লোকজন মেয়েকে নিয়ে ক্লিনিকে যাওয়া বাসা একা পেয়ে এ ধর্ষনের ঘটনা ঘটিয়েছে ওই লম্পট। প্রতিবেশী লোকজন টের পেয়ে শফিকুলকে তার নিজ শয়নকক্ষে এসে হাতেনাতে আটক করে। খবর পেয়ে তার ভাইয়েরা এসে তড়িঘড়ি করে রফাদফা করার চেস্টা করে। মেয়ের পরিবারের এক নিকট আত্নীয়ের প্রতিবাদে সে বৈঠক ভেঙ্গে যায়। পরে একটি প্রভাবশালী মহলের সহযোগিতায় ৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে রফাদফা হয়ে যায়। মেয়ের পরিবার ৪ লক্ষ টাকা পেলেও ১ লক্ষ টাকা বিভিন্ন মহলে ভাগ বাটোয়ারা করে দেয়া হয়। ফলে বিষয়টি নিয়ে সব মহলে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টা করছে। অথচ প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষন আপোষযোগ্য ঘটনা নয়।

অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের ভিআইপি পাড়া এলাকার মৃত আফাজ উদ্দিনের ছেলে। এছাড়া সে হাতীবান্ধা বাস স্টান্ডের কাউন্টার ম্যানেজার।

জানাগেছে, শফিকুল ইসলাম ও শিশুর বাড়ি পাশাপাশি। তারা একে অপরের প্রতিবেশী।শিশুটি প্রতিবন্ধী হওয়ায় সফিকুল ইসলাম প্রায় দিন ওই শিক্ষার্থীকে তার বাড়িতে বিভিন্ন প্রলোভনে ফুঁসলে এনে ধর্ষন করে। এমন অবস্থায় মঙ্গরবার সকালে আবারো সফিকুল ইসলাম ওই শিশুকে তার বাড়িতে এনে ধর্ষণ করতে থাকে। এমন অবস্থায় বিষয়টি দেখতে পায় শফিকুলকে হাতে নাতে আটক করে স্থানীয়রা। পরে অভিযুক্ত শফিকুল ইসলামের বাড়িতে তার ভাইদের চেস্টায় রফাদফার বৈঠক বসে ভেঙ্গে যায়। পরে প্রভাবশালী মহলের চেস্টায় ২য়বার ৫লক্ষ টাকার বিনিময়ে রফাদফা হয়ে যায়।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, সফিকুলকে ধর্ষণ করা অবস্থায় আটক করা হয়। পরে ৫লক্ষ টাকার বিনিময় বিষয়টি আপোষ মিমাংসা করা হয়।

শিশুটির নিকটতম এক আত্বীয় বলেন, সফিকুলকে হাতে নাতে আটক করা হয়। পরে বিষয়টি আপোষ মিমাংসা করা হয়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম বলেন, আমার কথাতো বিশ্বাস করবেন না। তাই পরে কথা বলবো।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শাহ আলম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই।