লাশ উদ্ধারের তিন ঘন্টার মধ্যে আসামি আটক

সাতক্ষীরায় ২০০ টাকার জন্য বন্ধুকে খুন করে বন্ধু

সাতক্ষীরায় বন্ধুকে জবাই করে হত্যার খুনি বন্ধু সাগর হোসেনকে হত্যায় ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুরিসহ তিন ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করেছে সাতক্ষীরা পুলিশ।

মাত্র ২০০ টাকার জন্য তার বন্ধুকে খুন করেছে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে সে।

ঘাতক সাগর হোসেন (১৪) সাতক্ষীরা সিটি কলেজ এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে।

সাতক্ষীরার গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক ইয়াসিন আলম চৌধুরী জানান, ঘাতক সাগর হোসেনকে শনিবার বিকালে লাশ উদ্ধারের তিন ঘন্টার মধ্যে শহরের পলাশপোলের সরকারি গোরস্থানের কাছ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শহরতলির লাবসা বাইপাসের কাছে একটি গ্যারেজ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত ধারালো ছুরি জব্দ করা হয়।

ঘাতক বন্ধুর দেওয়া জবানবন্দি অনুযায়ী শুক্রবার রাত ৩টার দিকে সে তার বন্ধু সালাউদ্দিন কে হত্যা করে।

জবানবন্দির সূত্র ধরে পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, সাগর হোসেন বন্ধু সালাউদ্দিনের কাছে গাঁজা কিনবার জন্য ২০০ টাকা দিয়েছিল। কিন্তু সালাউদ্দিন গাঁজা কিংবা টাকা কোনোটাই ফেরত না দেওয়ায় সে তাকে খুন করেছে বলে জানিয়েছে।

আটক সাগর কে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এর আগে শনিবার বেলা দেড়টার দিকে সাতক্ষীরা শহরতলির কাশেমপুর মালীপাড়া এলাকা থেকে এক কিশোরের জবাই করা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত কিশোর ইজিবাইক চালক সালাউদ্দিন হোসেন (১৫) শহরতলীর কাশেমপুর মালীপাড়া শাহজাহান আলী ওরফে বাবুর ছেলে।

হত্যাকারী কিশোর সাতক্ষীরা সিটি কলেজ এলাকার সাগর হোসেন তার বাবা শহিদুল ইসলামকে যেয়ে এ খবর জানায় এবং নিহত বন্ধু সালাউদ্দিনের লাশ ঘরে রয়েছে বলে জানায়।

সালাউদ্দিনের বাবা শাহজাহান আলী বরাত দিয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. বোরহান উদ্দিন জানান, বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে বন্ধু সাগর হোসেন তার বন্ধু ইজিবাইক চালক সালাউদ্দিন আহমেদের (১৫) ঘরে ঢোকে। এক পর্যায়ে সে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পরে সাগর হোসেন তার বাবা শহিদুল ইসলামকে এ খবর জানায়। নিহত সালাউদ্দিন বাড়ির একটি কক্ষে একাই থাকতো।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, নিহত সালাউদ্দিন ও তার ঘাতক বন্ধু সাগর হোসেন দুজনেই ছিল মাদকাসক্ত। তারা মাদক কারবারের সাথেও জড়িত ছিল বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।