স্ত্রীকে মোবাইল কলে রেখে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ স্বামীর

‘আমি চিরদিনের জন্য চলে যাচ্ছি, তুমি সুখে থেকো’ বলেই স্ত্রীকে মোবাইল ফোনকলে রেখে সিলেট থেকে ঢাকাগামী ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন স্বামী ভুলন দাস (৩২)। খণ্ড হয়ে যায় তার শরীর। স্বামীর এই নির্মম পরিণতি জেনে মূর্ছা যান স্কুল শিক্ষক ঝুমা রানী দাস।

বৃহস্পতিাবার বিকাল ৪টায় এই ঘটনা ঘটেছে কুলাউড়া উপজেলা সদরের বিহালা গ্রামে। ভুলন বিয়ানীবাজার উপজেলার মেওয়া গ্রামের খোকন দাসের ছেলে। তিনি পেশায় পল্লী চিকিৎসক। বিয়ে করেছেন দুই বছর আগে। বিয়ানীবাজার উপজেলার দুবাগ বাজারে ডক্টরস চেম্বার নামে তার নিজস্ব ফার্মেসি রয়েছে। ৫ বছর আগে বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ বাজারে আহমদ ফার্মেসি ও কুলাউড়া উপজেলার সুরমা ফার্মেসিতে ফার্মাসিস্ট হিসেবে কাজ করেছেন তিনি।

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া রেলওয়ে থানার ওসি আবদুল মালেক জানান, পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যা করেছেন ভুলন দাস। মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে পুলিশ স্বজনদের খবর দেয়। রাত ৮টায় লাশ উদ্ধার করে কুলাউড়া রেলওয়ে থানায় আনা হয়। শুক্রবার সকালে স্ত্রী জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ নিয়ে যান। ওসি জানান, ট্রেন লম্বা হুইসেল বাজালেও ভুলন দাস রেললাইন থেকে সরেননি। তার মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ লাইনের পাশে চাদরের ওপর রাখা ছিল।