২-০ গোলে পিছিয়ে থেকেও ড্র বাংলাদেশের

খেলার ৮২ মিনিট পর্যন্ত বাংলাদেশ পিছিয়ে ২-০ গোলে। নিশ্চিত পরাজয়। এমনটাই ধরে নিয়েছিল বাংলাদেশের সমর্থকরা; কিন্তু ফুটবলে শেষ বাঁশি না বাজা পর্যন্ত যে নিরাশ হতে নেই- সেটা আবারও প্রমাণ করলো বাংলাদেশের ফুটবলাররা। প্রায় দেড় বছর পর আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলতে নেমে লাওসের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করেই মাঠ ছেড়ে লাল-সবুজ জার্সিধারিরা।

খেলার প্রথমার্ধেই ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ডিফেন্ডারদের একের পর এক মারাত্মক ভুলের সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশের জালে দু’বার বল জড়ায় লাওসের ফুটবলাররা। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে সেই ২ গোল শোধ করে নিশ্চিত পরাজয় দুরে ঠেলে দিয়ে মাথা উুঁচু করে মাঠ ছাড়তে পেরেছেন অ্যান্ড্রু ওর্ডের শিষ্যরা।

ম্যাচের ৩০ মিনিটে প্রথম গোল হজম করে বাংলাদেশ। এরপর প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে (৪৫+২) পেনাল্টি থেকে দ্বিতীয় গোল প্রবেশ করে বাংলাদেশের জালে। ৮২ মিনিট পর্যন্ত এ অবস্থা ছিল বিরাজমান। অবশেষে ৮২ মিনিটে জাফর ইকবালের গোলে ব্যাবধান কমায় বাংলাদেশ। ১ গোল শোধ করার পর আরও উজ্জীবিত হয়ে ওঠে ওর্ডের শিষ্যরা। যে কারণে ইনজুরি সময়ে (৯০+২ মিনিটে) আবু সুফিয়ান সুফিলের গোলে সমতা ফেরে লাল সবুজ জার্সিধারিরা।

প্রায় দেড় বছর পর আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ ফুটবল দল। ২০১৬ সালের ১০ অক্টোবর থিম্পুতে ভুটানের কাছে হারের পর এটিই বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ। লাওসের রাজধানী ভিয়েনতিয়েনে ম্যাচটি শুরু হয় বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টায়।

আন্তর্জাতিক ফুটবলে লাওসের বিরুদ্ধে এর আগে একবার খেলেছে বাংলাদেশ। তাও ঠিক ১৫ বছর আগে। দিনটি ছিল ২০০৩ সালের ২৭ মার্চ। হংকংয়ে অনুষ্ঠিত এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বের সে ম্যাচটি জিতেছিল লাওস ২-১ গোলে। ফিফা র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে লাওস। বাংলাদেশ ১৯৭ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটি ১৮৩।