পুরুষ দুই প্রকার, জীবিত আর বিবাহিত!

সবাই নারী নির্যাতন নিয়ে কথা বলি। নারী নির্যাতন নিয়ে ভাবি, কিন্তু এই সমাজে পুরুষ নির্যাতনও অছে। এবার তা স্বীকার করলেন একজন নারী। তিনি তার দেখা পুরুষ নির্যাতনের একটি বাস্তব অভিজ্ঞতা নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

রাখী নাহিদ নামে ওই নারী লিখেছেন- পুরুষ নির্যাতনের এক্সট্রিম কেস এইটা! আমি সারাদিন মনে মনে ভাবলাম-কেম্নে কি? এইরকম মহিলাও আছে? তাদের আবার স্বামীও আছে?

তার স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-

বড় ছেলের স্কুলের সামনে দাড়িয়ে আছি, ছুটির সময়! আরো অনেকেই দাড়ানো! আমার পাশে এক ভদ্রমহিলাকে শুনছি একটু পর পর ফোন করে সম্ভবত কাজের লোককে ঝাড়ি দিচ্ছে!

-এই,কাপড় ধুইসত? কি ঘর মুছাই শেষ হয় নাই এখনো? বেশি উজাইসত, না? দাড়া,আমি আয়া লই আইজকা, তোর তেল যদি চিপ্পা না কমাইসি! বলেই খাট করে লাইন কেটে দিল! এরকম দুইতিন বার ফোন দিল দুই তিন জনকে! সবাইকেই চিপ্পা তেল কমানোর হুমকি দিয়ে কথা শেষ করলো!

আমি তার পাশে দাড়িয়ে যথেষ্ট ভীত বোধ করছিলাম! কিন্তু টেলি কনভার্সেশন শুনার লোভ সামলাতে পারছিলাম না!!এই বদ স্বভাব নতুন হয়েছে আমার,মানুষের কনভার্সেশন শুনতে হেব্বি ভাল্লাগে! যাই হোক, একটু পরে তার চোখ পড়ল আমার দিকে,আমাকেও ঝারি দিয়ে জিগ্গেস করলো, ছেলে পড়ে? কোন ক্লাস? কই থাকেন? চিপ্পা তেল বাইর কইরা ফেলতে পারে ভেবে আমি সুন্দর উত্তর দিয়ে যাচ্ছিলাম!

এইবার উনি প্রশ্ন করলো, সাহেব কি করে? (অনেক মহিলাই স্বামীকে সাহেব সম্মোধন করে, so weired)

আমি বললাম, জি হাজব্যান্ড? ব্যাংকে আছে! এরপর মহিলা নিজে থেকেই বলল, আমার সাহেব বিজনেস করে, ফার্নিচারের দোকান আছে মিরপুর আর পান্থপথে! বলতেই বলতে তার ফোন আসল! উনি এইবার আরো উত্তেজিত-এতক্ষণে বাইর হইস মানে কি? আমি পোলারে নিয়া রোদের মধ্যে খাড়ায় থাকুম নাকি? ফাইজলামি কর আমার লগে? তাত্তারি আস, ফাজিল জানি কুহানকার!

আমি বললাম, ড্রাইভার? বলে, আরে না, আমার সাহেব! এতক্ষনে পান্থপথ থেকে রওনা দিসে! মিজাজটা কেমুন লাগে কন? আমি পুরাই মাননীয় স্পিকার, মনে মনে বললাম- এই যদি হয় তুমগো ধলা মিয়া, কালা মিয়া না জানি কেমন! ভয়ে ঢোক গিলতে গিলতে বললাম,পান্থপথ থেকে আসতে সময় লাগবে না!

ঠিক তখনি ছুটির বেল বাজলো! আমার ছেলে সবচেয়ে লেট করে বের হয় তাই আমি তখনও দাড়িয়ে আছি! মহিলা তার বাচ্চা সহ হাজব্যান্ড মানে গাড়ির অপেক্ষা করছেন! হঠাত দেখি আশ্চর্যবোধক চিহ্নের মত দেখতে একটা লোক প্রায় উড়ে এসে মহিলার সামনে পড়ল! বলল,সরি একটু লেট হইসে! কাস্টমার আছিলো! মহিলা লোকজনের তোয়াক্কা না করে দাত কিরমির করে বললেন-তুমার কাস্টমার আমি বাইট্টা খাওয়ামু! এহেনে কিসু কইলাম না, বাসায় চল খালি!

আমার দেখা, পুরুষ নির্যাতনের এক্সট্রিম কেস এইটা! আমি সারাদিন মনে মনে ভাবলাম-কেম্নে কি? এইরকম মহিলাও আছে? তাদের আবার স্বামীও আছে?

আহারে আহারে আহারে! এই ঘটনার পরে আমি নিজে এমন এক যন্ত্রনায় পড়লাম! সারাদিন খালি চোখে ওই আশ্চর্যবোধক ভদ্রলোকের করুন চেহারাটা ভাসে আর আমি সারাদিন একই গান গাই- “আমি সাহেব নামের এক গোলাম, শুধু হুজুর হুজুর থুক্কু মেটাম মেটাম করে গেলাম……!”

জাতি জান্তে চায়, আমরা কি এমুন “সাহেব” চেয়েছিলাম….?

ফিলিং- পুরুষ দুই প্রকার! জীবিত আর বিবাহিত!

মাই কনডোলেন্সেস টু অল মৃত থুক্কু বিবাহিত পুরুষ আউট দেয়ার!