অর্থনৈতিক চেহারা পাল্টাতে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে : কৃষিমন্ত্রী

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার সদর উপজেলা ভাইবোনছড়া ইউনিয়নে কাজুবাদাম ও কফি গবেষনা, উন্নয়ন ও সম্প্রসারন প্রকল্পের আওতায় স্থাপিত কাজুবাদাম ও কফি প্রদর্শনী এবং কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন অন্যান্য প্রকল্পে কার্যক্রম পরিদর্শন ও কৃষি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী কৃষিবিদ ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি।

কৃষিমন্ত্রী কৃষিবিদ ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক, এমপি বলেন, পার্বত্য এ জেলায় বৈচিত্র্যময় সম্ভাবনা রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে বাস্তবে কাজে লাগিয়ে আমরা এখানকার উৎপাদিত কাজু বাদাম, কফি, আনারস, আমসহ বিভিন্ন ফল-ফলাদি বাইরে রপ্তানি করবো। সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়তে হলে কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।

পার্বত্য চট্টগ্রামে কৃষি বিপ্লবের মাধ্যমে অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন আনতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়নে কাজুবাদাম ও কফি চাষ স¤প্রসারণের প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। পার্বত্য এলাকার অর্থনৈতিক চেহারা পাল্টাতে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, কাজুবাদাম ও কফির বিশাল চাহিদা রয়েছে বিশ্ব বাজারে, দামও অনেক বেশি। সেজন্য ফসলের চাষাবাদ ও প্রক্রিয়াজাত বাড়াতে হবে। পাহাড়ের বৃহৎ এলাকাজুড়ে এসব ফসল চাষের সম্ভাবনা অনেক।

বুধবার(৫ই এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টায় খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা ভাইবোনছড়ার মিলেনিয়াম ভাইবোনছড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাংগনে কাজুবাদাম ও কফি গবেষণা উন্নয়ন ও স¤প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন ও এক কৃষক সমাবেশে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, দেশে ও আন্তর্জাতিক বাজারে কাজুবাদাম ও কফির বিশাল চাহিদা রয়েছে, দামও অনেক বেশি। কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছে সরকার। ফসলের চাষ জনপ্রিয় করতে কৃষক ও উদ্যোক্তাদেরকে আমরা বিনামূল্যে উন্নত জাতের চারা, প্রযুক্তি ও পরামর্শ সেবা প্রদান করে যাচ্ছি। এখন পর্যন্ত কফি ও কাজুবাদামের ১২লাখ চারা বিনামূল্যে কৃষকদেরকে দেওয়া হয়েছে। এ বছর ২০লাখ চারা দেওয়াা হবে বলেও জানান।
পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর আয় বাড়াতে ফসলের উৎপাদন বাড়াতে হবে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আবদুর রাজ্জাক এমপি বলেন, কাজুবাদাম ও কফির বিশাল চাহিদা রয়েছে বিশ্ব বাজারে, দামও অনেক বেশি। সেজন্য ফসলের চাষাবাদ ও প্রক্রিয়াজাত বাড়াতে হবে। পাহাড়ের বৃহৎ এলাকাজুড়ে এসব ফসল চাষের সম্ভাবনা অনেক। সে কারণে এসব ফসল ফলিয়ে পাহাড়ের অর্থনৈতিক চেহারা পাল্টাতে কাজ করছে সরকার। কৃষিমন্ত্রী তিন পার্বত্য জেলায় কৃষকদের মাঝে ২০লাখ চারা বিতরণের করার ঘোষণা দেন।

কৃষি মন্ত্রী বলেন-আনারস, আম, ড্রাগনসহ অন্যান্য ফল চাষের সম্ভাবনাও প্রচুর। এসব ফসলের চাষ আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে পারলে পার্বত্য এলাকার অর্থনীতিতে বিপ্লব ঘটবে। পাহাড়ি এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার মানের দর্শনীয় উন্নয়ন হবে। একইসাথে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করেও প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা যাবে।

কফি ও কাজু বাদামের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধি এবং প্রক্রিয়াজাতে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, এসব ফসলের চাষ জনপ্রিয় করতে কৃষক ও উদ্যোক্তাদেরকে সরকার বিনামূল্যে উন্নত জাতের চারা, প্রযুক্তি ও পরামর্শসেবা প্রদান করে যাচ্ছে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার সভাপত্বিতে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভারত প্রত্যাগত শরনার্ধী বিষয়ক টাস্কফোর্স’র চেয়ারম্যান(প্রতিমন্ত্রী সমমর্যাদা সম্পন্ন) ও ২৯৮নং আসনে সংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রনালয়ের সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাঙ্গামাটির সংসদ সদস্য দীপঙ্কর তালুকদার এমপি, পার্বত্য চট্টগ্রাম ০৯নং সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা এমপি, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের(বিএআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো: সহিদুজ্জামান, জেলা পুলিশ সুপার মো: নাইমুল হক পিবিএম, পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, জেলা কৃষি স¤প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক কিশোর কুমার মজুমদার, কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের জেলা মার্কেটি অফিসার তুষার কান্তি চাকমা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: শানে আলম প্রমুখ।

এর আগে কাজুবাদাম বাগান পরিদর্শনের কথা থাকলেও আবাহওয়া অনুকুলে না থাকা এলাকা যাওয়া সম্ভব হয়নি।
অনুষ্ঠিত সভায় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।