কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর কার্ড বিতরণে নেয়া হচ্ছে টাকা

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর পাথরডুবী ইউনিয়ন পরিষদে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর কার্ড নিতে গিয়েছিলেন কর্মহীন হতদরিদ্র লোকমান হেকিম। নামে হেকিম থাকলেও তিনি তেমন চিকিৎসক নন।

তিনি মাঝেমধ্যে লোকজনকে টোটকা চিকিৎসা দিয়ে ও অন্যের ফরমায়েশ খেটে জীবিকা নির্বাহ করেন। কার্ড নিতে এসে তিনি জানতে পারেন কার্ড প্রতি ১২০ টাকা দিতে হবে। এই টাকা দেয়ার সামর্থ্য তার নেই।

কিন্তু কার্ডতো নিতেই হবে। হাত পাতলেন এলাকার করিম, সাইফুল ও বাশারের কাছে। তিনজনের কাছ থেকে ১২০ টাকা নিয়ে তা জমা দিয়ে কার্ড সংগ্রহ করলেন। এঘটনা ঘটেছে উপজেলার পাথরডুবী ইউনিয়নে। ইউনিয়নটির হতদরিদ্রদের জন্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ১৫৬১টি কার্ড বরাদ্দ রয়েছে। উল্লেখ্য, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী পূর্বের কার্ডগুলো অনলাইন আদেবনের মধ্যমে পূরণ করে তা পুনরায় বিতরণ করা হচ্ছে। বিতরণকালে প্রতিটি কার্ডের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ১২০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ওই ইউনিয়নের ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডে কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। রবিবার ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডে কার্ড বিতরণে টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠলে সোমবার কার্ড বিতরণ বন্ধ রাখা হয়। টাকা দিয়ে কার্ড নিয়েছেন দক্ষিণ বঁাশজানি গ্রামের সফিকুল ইসলাম, একই গ্রামের জমির উদ্দিন, আজিমুদ্দিন মিয়া ও শহিদুল ইসলাম জানান, টাকা ছাড়া কার্ড দেওয়া হয় না। তাই বাধ্য হয়ে টাকা দিয়ে কার্ড নিয়েছি। ওই সময় সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান, ওয়ার্ড মেম্বার ও সহকারি সচিব উপস্থিত ছিলেন। ট্যাক্সের নামে ১২০ টাকা নেয়া হলেও রশিদ দেওয়া হচ্ছে ১০০ টাকার।

এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যন আব্দুস সবুর জানান, ইউনিয়ন পরিষদের রেজুলেশনের মাধ্যমে বসতবাড়ির বাৎসরিক মূল্যের উপর কর নেয়া হয়েছে।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল আহাদ জানান, বিষয়টি আমরা জেনেছি। শিগ্রই তদন্ত করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপক কুমার দেব শর্মা জানান, বিষয়টি নিয়ে চেয়ার‍্যানের সাথে কথা বলছি।

কর আদায়ের রশিদে ইউনিয়ন পরিষদের সীলমোহর না থাকায় আদায় করা টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হবে কিনা তা নিয়ে জনমনে সংশয় দেখা দিয়েছে।