খাগড়াছড়িতে আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘বাস্তবায়ন করি অঙ্গীকার-জীববৈচিত্র্য হবে পুনরুদ্ধার’ এ প্রতিপাদ্যে আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস উপলক্ষে তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে ইউএসএআইডি অর্থায়নে ইউএনডিপি’র সহযোগিতায় এসব অনুষ্ঠান হয়।

সোমবার (২৯শে মে) সকালে কমলছড়ি ইউনিয়নের জয়ধন পাড়াস্থ বেতছড়ি খ্রীষ্টান পাড়া কমিউনিটি ক্লিনিক প্রাঙ্গন থেকে একটি র‍্যালি বের করে পুনরায় একই স্থানে এসে শেষ হয়। র‍্যালিতে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাসহ প্রায় শতাধিক লোক অংশ নেন। পরে জয়ধন পাড়ার ‘উপর বেতছড়ি ব্যাঃ চার্চ’ কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ড. নিখিল চাকমা। এ সময় তিনি বিলুপ্ত ও বিলুল্পপ্রায় প্রজাতির উদ্ভিদ সম্পর্কে গুরুত্বারোপ করেন ও বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির উদ্ভিদের সংরক্ষণ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন।

তিনি বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও জীববৈচিত্র্য বিবিধ কারণে মারাত্মক হুমকির সন্মুখীন। তিনি জীববৈচিত্র্য পুনুরুদ্ধারে সকলকে অগ্রণী ভূমিকা পালনের অনুরোধ জানান। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিষয়ে গুরত্বারোপ করতে এদের বাসস্থান-মেরামত/উন্নত করা জরুরি। বন্যপ্রাণী হত্যা, ধরা, মারা প্রভৃতি কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য এবং এ ব্যাপারে জন সচেতনতা বাড়ানোর জন্য উদাত্ত আহবান জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা না পাওয়ায় বিলুপ্ত হয়েছে অনেক জীবের। বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যপ্রাণী ও উদ্ভিদের বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। পানির বিভিন্ন উৎস নষ্ট হওয়ায় জীবজন্তু বন থেকে পালাচ্ছে। প্রাকৃতিক ভারসাম্য ধরে রাখার উপায় খুঁজে বের করতে হবে। ধ্বংস হওয়া বনকে উদ্ভিদ ও প্রাণীর বসবাসের উপযোগী করে তুলতে হবে।

দেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় পার্বত্য চট্টগ্রামে এখনো যথেষ্ট বন রয়েছে। এসব বনে পরিবেশ, বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করতে স্থানীয় জনগোষ্ঠীদের এগিয়ে আসতে হবে, পাশাপাশি সরকারকেও আরো জোরালো ভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে বলে মন্তব্য করেন বক্তারা।