খাগড়াছড়িতে রড ও এঙ্গেল ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ করেছে সাধারন ক্রেতারা

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলাতে রড ও এঙ্গেল ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ করেছে সাধারন ত্রেতারা। জেলাতে নির্মাণ সামগ্রী রড ও এঙ্গেল ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ উঠেছে জেলার সব চাইতে বড় ব্যবসায়ী আলম ব্রাদার্সের বিরুদ্ধে।

সূত্র জানায়, আলম ব্রাদার্স থেকে বছরের পর বছর সরল বিশ্বাসে রড, এঙ্গেল ক্রয় করে আসছে সাধারন ক্রেতা। ইদানীং সন্দেহ হলে, অন্য স্কেলে মাপ দিয়ে দেখতে পাই, টন প্রতি ১২-১৫কেজি ওজনে কম দেয়া হচ্ছে।

পরে বিষয়টি আলম ব্রাদার্সকে জানানো হলে, তাঁদের দোকানের স্কেলে ওজন করলে কম হওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হয়। পরক্ষণেই গোডাউনের স্কেলটি দিয়ে ওজন করা বন্ধ করে দেয়া হয়।

আলম ব্রাদার্সের গোডাউনের ডিজিটাল স্কেলটি পূর্বে থেকে সমস্যার কথা সত্ত্বাধিকারী আলম সাহেবের বক্তব্যেও উঠে আসে, তিনি এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। এ অনিয়ম সম্পর্কে আলম ব্রাদার্সের প্রোপাইটর আলম সাহেবের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি অনিচ্ছাকৃত ভুলে হয়েছে। এস্কেলটি যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে ও অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা একাধিকবার মেরামতকারী মিস্ত্রি নিয়ে এসেছি, তার পরেও স্কেলটির মাপে কম-বেশি হওয়াতে বর্তমানে স্কেলটি দিয়ে ওজন করা বন্ধ রাখা হয়েছে।

এখন পূর্বের এনালগ পদ্ধতিতে ওজন করে রড বিক্রি করা হচ্ছে। টন প্রতি পাঁচ-ছয় কেজি কম হওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার, এটি শুধুমাত্র আমাদের এখানে নয় সবখানে হতে পারে।
খাগড়াছড়িতে আলম ব্রাদার্সের ব্যবসায়ীক ৩০বছরের আস্তা ও সুনাম রয়েছে। এই সুনাম ও আস্থা অক্ষন্ন রাখবে আলম ব্রাদার্স।

আগামী কিছুদিনের মধ্যে ত্রুটিযুক্ত ডিজিটাল স্কেলটি বিএসআরএম স্ট্যান্ডার্ড মোতাবেক চট্রগ্রাম থেকে ইঞ্জিনিয় ার এনে মেরামত করা হবে অথবা নতুন ডিজিটাল স্কেল আনা হবে। তিনি আরো বলেন,ডিজিটাল স্কেলের নির্দিষ্ট কোন স্ট্যান্ডার্ড না থাকায় মাপে তারতম্যের মূল কারণ হয়েছে।