খাগড়াছড়িতে পাহাড়িদের বৈসাবির উৎসবের কারণে বিএনপির সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় পাহাড়িদের প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসাবির সম্মানে বিএনপি সড়ক অবরোধ থেকে বিরত থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে। আল্টিমেটাম দিলেও পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসাবির সম্মানে আগামি ১২ ও ১৩ এপ্রিল জেলায় সড়ক অবরোধ করছে না বিএনপি।

খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূঁইয়া সোমবার(১০ই এপ্রিল) রাতে এক বিবৃতিতে এম ঘোষনা দেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, গত ৮ই এপ্রিল খাগড়াছড়িতে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা বিভাগীয় ইফতার মাহফিল ছিল। ইফতার মাহফিল সফল করার জন্য বিএনপির পক্ষে থেকে ৪টি মাঠের নাম উল্লেখ করে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করা করা হয়। কিন্তু বিএনপিকে একটি মাঠও ইফতার মাহফিল করার অনুমতি না দিয়ে, নিজস্ব স্থানে ইফতার মাহফিল করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

ফলে বিএনপি খাগড়াছড়ি বাস টার্মিনালের নিকটস্থ ব্যাক্তিগত মালিকানাধীন জমিতে ইফতার মাহফিল করার সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করে।

জেলা প্রশাসন আওয়ামীলীগের বিভিন্ন সংগঠনের নামে পাল্টা কর্মসূচীর আবেদন পত্র সংগ্রহ করে শেষ মহুর্তে বিএনপির প্রস্তুতকৃত ইফতার মাহফিল স্থলে ১৪৪ধারা জারী করে।

ইফতার মাহফিলের ভেন্যু নিয়ে এমন আচারণের প্রতিবাদে জেলা বিএনপি এক সংবাদ সম্মেলন ডেকে ইফতার মাহফিলে কোন প্রকার বাধা প্রদান করা হলে, ১২ ও ১৩ এপ্রিল জেলা ব্যাপি সড়ক অবরোধ ঘোষনা করতে বাধ্য হবে মর্মে ঘোষনা দেয়। যদিও কাকতালীয়ভাবে ঐ ১২ ও ১৩ তারিখ পাহাড়ি জনগোষ্ঠির প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসাবী শুরু হবে। এতে জনমনে সড়ক অবরোধ নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়।

ওয়াদুদ ভূঁইয়া এমন উদ্ভুত পরিস্থিতির জন্য সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনকে দায়ী করেন বলেন, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী। বিএনপি সকল সম্প্রদায়ের আবেগ, অনুভুতি ও অনুষ্ঠানাদীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ইফতার মাহফিল বাধাগ্রস্থ হওয়া স্বত্তেও বিএনপি বৈসাবির প্রতি সম্মান রেখে ও পাহাড়িদের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে ১২ ও ১৩ এপ্রিল সড়ক অবরোধের ঘোষণা থেকে বিরত থাকলো অর্থাৎ বিএনপির পক্ষে থেকে সড়ক অবরোধ ঘোষনাকৃত প্রত্যাহার করে নেয়া হলো।