খাগড়াছড়িতে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও ঋতুরাজ বসন্ত উৎসব অনুষ্ঠিত

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলাতে বসন্ত এসে গেছে। প্রকৃতি জেগেছে নতুন সাজে। আর এতে ঋতুরাজ বসন্ত উৎসব ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস পালিত হয়েছে।

মঙ্গলবার(১৪ই ফেব্রুয়ারি) বসন্ত উৎসব ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবসকে ঘিরে আনন্দে মাতোয়ারা তরুন-তরুনীরা।

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে মেলার আয়োজন করা হয়েছে। বিনোদন কেন্দ্র গুলোতেও উপচে পড়া ভিড়। পক্ষান্তরে খাগড়াছড়ি “সিঙ্গেল ঐক্য পরিষদ ও প্রেম বঞ্চিত সমাজ”-এর ব্যানারে পুঁজিবাদী প্রেমের বিরুদ্ধে মনো মিছিল ও শান্তি সমাবেশ হয়েছে। বসন্তের প্রথম দিনে জেলার মানিকছড়ি উপজেলায় বসন্ত উৎসবের আয়োজন করেছে পুরাতন মংরাজ বাড়ির ‘কালচার এন্ড আর্ট ইনস্টিটিউট’।

এ ঋতুরাজ বসন্ত উৎসব ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে খাগড়াছড়ির সর্বত্র সেজেছে বর্ণিল সাজে। বিভিন্ন সংস্থার উদ্যোগে আয়োজন করা হচ্ছে বসন্ত মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। দিবসটি উপলক্ষে খাগড়াছড়িতে নারী উন্নয়ন সংগঠন জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে বসন্ত মেলার আয়োজন করা হয়।

এ সময় সকালে ফিতা ও কেক কেটে বসন্ত মেলার শুভ সূচনা করেন পুনাক সভানেত্রী রেহানা ফেরদৌসি। মেলায় ১৫টি স্টল অংশ নিয়েছে। অপর দিকে খাগড়াছড়ি সরকারী মহিলা কলেজের উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছে পিঠা মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। উৎসবে অংশ নিয়ে উল্লসিত তারা।
এছাড়াও ঋতুরাজ বসন্ত উৎসব ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবসকে ঘিরে ভিন্ন ধরনের আয়োজনও হয়েছে খাগড়াছড়িতে।

খাগড়াছড়ি “সিঙ্গেল ঐক্য পরিষদ ও প্রেম বঞ্চিত সমাজ”-এর ব্যানারে পুঁজিবাদী প্রেমের বিরুদ্ধে মনো মিছিল ও শান্তি সমাবেশ হয়েছে। এ সময় তারা “কেউ পাবে, কেউ পাবে না. তা হবে না, তা হবে না”। “থাকিবো সিঙ্গেল, হবো না মিঙ্গেল, এক বড় না দুই বড়, সিঙ্গেলদের মন বড়” ইত্যাদি শ্লোগান দেয়। মিছিল শেষে বক্তারা একের অধিক প্রেম ও ভালোবাসা দিবসের স্কুল-কলেজে অপ-সংস্কৃতি চর্চা হচ্ছে বলে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে প্রেমে সমবন্টনের দাবি জানান।

এদিকে মঙ্গলবার(১৪ই ফেব্রুয়ারি) ১লা ফাগুন ১৪২৯, সকাল ১০টায় উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মহামুনি চত্বরে এই প্রথম বসন্ত উৎসবের আয়োজন করেন পুরাতন মংরাজ বাড়ির ‘কালচার এন্ড আর্ট ইনস্টিটিউট। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো: জয়নাল আবেদীন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) রক্তিম চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো: আনচারুল করিম, যুবলীগ সভাপতি মো: সামায়উন ফরাজী, প্রাম ডাক্তার কল্যাণ সোসাইটির সভাপতি অমর কান্তি দত্ত, সনাতন নেতা রুপেন পাল, বাদল বরণ সেন ও কালচার এন্ড আর্ট ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডালিয়া রায় প্রমুখ।

বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নাটক(দেবদাস) কবিতা পাঠ, গান ও নৃত্যানুষ্ঠান ইত্যাদি।

উল্লেখ্য, তাজমহল রাজার উপহার লাইলী-মজনু ও শিরি-ফরহাদের প্রেম কাহিনী বসন্তে কোকিলের কূহু-কূহু ডাক পৃথিবীতে ইতিহাস হয়ে আছে ও থাকবে তাই প্রেম চির অমর।