খাগড়াছড়িতে সরকারি ত্রাণই একমাত্র ভরসা

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলাতে সরকারি ত্রাণই একমাত্র ভরসা, এগিয়ে আসছে না অন্য ধনিবান ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীরা। প্রধানমন্ত্রী ত্রান ও নগদ অর্থ বিতরনে করোনা আক্রান্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণে এগিয়ে গেছে সরকার। তবে বেসরকারিভাবে অন্য সংগঠনগুলো না দাঁড়ালেও সেনাবাহিনীর চৌকষ কর্মীরা দিনরাত অসহায়দের মাঝে খাবার ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করে হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা করোনা আক্রান্তদের মাঝে ত্রাণ করেছে সম্প্রতি। বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবে দিশেহারা পুরো বিশ্ব। সেই সঙ্গে দিশেহারা পুরো দেশ। প্রতিদিন ভাঙছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড। প্রাণঘাতি করোনার সংক্রমণ এড়াতে চলমান সরকারি বিধিনিষেধ কর্মহীন হয়ে পড়েছে পাহাড়ি জনপদ খাগড়াছড়ির নিম্নআয়ের মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে খাগড়াছড়িতে হতদরিদ্র ও কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ।

করোনা মহামারিতে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে ১০হাজার হতদরিদ্র ও কর্মহীন পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হচ্ছে। গত মঙ্গলবার (৬ই জুলাই) সকাল ১০টার দিকে শুরা করে শিশু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জেলাজুড়ে খাদ্য সহায়তা বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সে’র চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।

খাদ্য সহায়তা বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, ‘করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাবে অসহায় হয়ে পড়েছে জেলার হতদরিদ্র ও নিম্নআয়ের মানুষ। সরকারের পাশাপাশি তাদের মুখে হাসি ফোটাতে আমাদের এই কার্যক্রম চালু হয়েছে। জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের অর্থায়নে আমাদের এই ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে।’

এসময় সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ মাস্ক পরার আহ্বান জানান তিনি।

বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সারাদেশে চলছে কঠোর লকডাউন। এ পরিস্থিতিতে দীঘিনালায় ১শত জন কর্মহীন ও দুস্থ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছে সেনাবাহিনী।
এর আগে শুক্রবার সকালে দীঘিনালা সেনা জোনের উদ্যোগে উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের গুলছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ১শত জন কর্মহীন ও দুস্থ পাহাড়ি এবং বাঙালী পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন জোনাল স্টাফ অফিসার ক্যাপ্টেন সিয়াম আহমেদ।
ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে জনপ্রতি ৫কেজি চাউল, ১কেজি ডাল, ১কেজি তেল, ১কেজি আলু, ১কেজি পেয়াজ, ৫০০গ্রাম চিনি ও ৫০০গ্রাম লবণ প্রদান করা হয়।

ক্যাপ্টেন সিয়াম আহমেদ বলেন, করোনা মহামারীর মধ্যে এ ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দীঘিনালা জোনের একটি ক্ষুদ্র প্রয়াাস মাত্র। ভবিষ্যতেও এরূপ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

এছাড়া সরকারিভাবে মাটিরাঙ্গা, গুইমারা, মানিকছড়ি, রামগড় ও লক্ষীছড়ি উপজেলায় হতদরিদ্র ও নিম্ন আয়ের পাঁচ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হয়।
প্রতি পরিবারকে ১০কেজি চাল, ১কেজি ডাল, ১কেজি পেঁয়াজ, ২কেজি আলু, ১কেজি লবন ও ১লিটার সয়াবিন তেল প্রদান করা হয়েছে।