খাদ্য আমদানি কমাতে পলিশ করা চাল না খাওয়ার পরামর্শ : খাদ্যমন্ত্রীর

খাদ্য আমদানি কমাতে জনগণকে পলিশ (মেশিনের সাহায্যে মসৃণ করা) করা চাল না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

বৃস্পতিবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে নওগাঁ সরকারি কলেজে এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ পরামর্শ দেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক করোনা মহামারির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সারা বিশ্ব আজকে বিপদে পড়েছে। যেখানে জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক, বিশ্ব খাদ্যসংস্থাসহ বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা বলছে বিশ্বে দুর্ভিক্ষ হতে পারে। তখন সেই বিপদের ছায়া বাংলাদেশের মতো দেশে পড়বে না তা তো আশা করা যায় না। কারণ, আমরা আমদানি নির্ভরশীল দেশ। তবে কৃষিতে যদি আমরা সঠিকভাবে আবাদ করি আর যদি পলিশ করা চাল খাওয়া কমাতে পারি, তাহলে কিন্তু আমাদের খাদ্য বাহির থেকে আনার বিন্দুমাত্র প্রয়োজন নেই।

চাল পলিশ করার কারণে চালের খাদ্যাংশ নষ্ট হয় উল্লেখ করে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, পলিশ করার জন্য বা চাল সিল্কি কিংবা মসৃণ করার জন্য চালের বাইরের কিছু অংশ নষ্ট হয়। প্রতি ১০০ টন চালে ৫ টন চাল কমে যায়। এই হিসেবে ১ কোটি টন চালে ২০-২২ টন চাল হাওয়া হয়ে যায়। এই খাদ্যাংশটুকু ভাত, সুজি কিংবা আটা কোনোভাবেই ব্যবহার করা যায় না।