খালেদার দুই গাড়িচালকের কান্না

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কারাদণ্ডের রায় শোনার পর কাঁদলেন তার ব্যক্তিগত গাড়ির চালক জালাল উদ্দিন। ৫০ বছরের বেশি বয়স্ক মানুষটি প্রতিদিন খালেদা জিয়াকে সব জায়গায় আনানেয়া করতেন। এছাড়া খালেদার গাড়ির অন্য চালক আমিনও খালেদাকে আনানেয়া করতেন। আজকে খালেদা জিয়াকে আদালতে নিয়ে যান আমিন।

এ সময় বাইরে বকশিবাজার মোড়ে অন্য গাড়িতে বসেছিলেন জালাল উদ্দিন। বেলা দুইটার পর খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের সাজা ঘোষণার কথা শুনেই কান্নায় ভেঙে পড়েন জালাল উদ্দিন।

গাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে গ্লাসের ফাঁক দিয়ে কান্নার দৃশ্য দেখে এই প্রতিবেদক এগিয়ে যান। সেখানে গিয়ে তার সঙ্গে কথা বলার আগেই বারবার টিস্যু পেপার দিয়ে চোখ মুছছিলেন তিনি।

বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে ১১বছর ধরে থাকা নরসিংদীর জালাল উদ্দিনের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, ‘কি বলবো বলেন। মানতে পারছি না। কিভাবে ম্যাডাম থাকবেন।’ এ কথা বলতে বলতে তার চোখ দিয়ে গড়িয়ে পানি পড়ছিলো। পরে কয়েকজন আইনজীবী এগিয়ে এসে কথা বলেন। তাকে স্বান্তনা দেন।

কিছুক্ষণ পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান জালালের গাড়ির কাছে আসলে পাশে থেকে একজন কান্নার বিষয়টি তুললে তারও চোখ ছলছল করতে দেখা যায়। বলেন, ‘কি করবে বলেন। সে তো ম্যাডামের পরিবারের মত হয়ে গেছেন।’

এদিকে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগতসহ তার বহরের সব গাড়ি বকশিবাজারের আদালত থেকে বের হয়ে যায়। এ সময় তার অন্য গাড়িচালক আমিনকে কান্না করতে দেখা যায়। কিছুক্ষণ গাড়ি আটকে থাকায় কাছে গিয়ে তাকে কান্না করতে দেখা যায়। অল্প কিছুক্ষণ পর গাড়ি নিয়ে চলে যান আমিন।