চট্টগ্রাম-১ ‘স্মার্ট বাংলাদেশের মডেল হবে মিরসরাই’ রুহেলের ২২ দফা ইশতেহার ঘোষণা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১ মিরসরাই
আসনে ২২ দফা প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনী ইশতেহার
ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা
প্রতীকের প্রার্থী মাহবুব উর রহমান রুহেল।

‘স্মার্ট বাংলাদেশের মডেল হবে মিরসরাই’ শিরোনামে এই ইশতেহারে
দেওয়া প্রতিশ্রæতির মধ্যে রয়েছে সবুজ পরিচ্ছন্ন ও
পরিবেশবান্ধব মিরসরাই গড়ার প্রত্যয়। নির্বাচিত হলে তিন
মাসের মধ্যে চাঁদাবাজি ও কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
নেবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে মাহবুব উর রহমান রুহেল তার ২২ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন।

এ সময় চট্টগ্রাম উত্তরজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক
শেখ আতাউর রহমান, মিরসরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান
জসিম উদ্দিন, মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি
জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক একে এম জাহাঙ্গীর
ভুঁইয়া,মিরসরাই পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন, সাবেক
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌস হোসেন আরিফ, উপজেলা

আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাখাওয়াত উল্লাহ রিপন, ভিপি
নিজাম উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন মনছুর, মিরসরাই পৌরসভা
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাফর উদ্দিন, চট্টগ্রাম উত্তর
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হোসেন চৌধুরী তপুসহ
স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচনী ইশতেহারে আছে পরিকল্পিত আবাসন, পরিকল্পিত
মডেল উপজেলা গঠন, সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক (আইটি
পার্ক) নির্মাণ, দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে কারিগরি শিক্ষা
প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা, পর্যটন স্পটগুলোকে ইকো ট্যুরিজম হাব,
নিরাপদ গ্রীণ মিরসরাই প্রতিষ্ঠা, দুই ও তিন ফসলী কৃষিজমি
রক্ষা, বিদেশগমনকারীদের টেকসই চাকুরির নিশ্চয়তা প্রদান করতে
প্রশিক্ষণ প্রদান, নারী সমাজকে আধুনিক শিক্ষা ও সামাজিক
নিরাপত্তা প্রদান, সম্প্রীতির মিরসরাই।

সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন, খেলার মাঠ তৈরির উদ্যোগ, সাধারণ মানুষের দৌড় গড়ায় সকল সেবা প্রদান, পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর জীবন-মান উন্নয়ন, বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরে স্থানীয়
বেকার যুবকদের জন্য কোটা সংরক্ষণ করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা
করা, সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সেবার নিশ্চয়তার প্রদান, ভূমি ও
গৃহহীন মানুষের আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের
জন্য বীর নিবাস বৃদ্ধি করা, জেলে সম্প্রদায়ের জীবন মান
উন্নয়ন ও তাদের পূণর্বাসন, উৎপাদিত ফসলাদি সংরক্ষণের জন্য
হিমাগার নির্মাণ, মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত স্থান
সমূহ সংরক্ষণ, বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সরকারি-
সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা।