চোর চেয়ারম্যানসহ পাঁচ সহযোগী গ্রেপ্তার, মালামাল উদ্ধার

নীলফামারী ও পঞ্চগড় জেলায় টিউবওয়েল ও পানির ট্যাঙ্কিতে চেতনা নাশক মিশিয়ে বাড়ির সদস্যদের অচেতন করে দেদারে চুরি করতো একদল চোর। সেই চক্রের প্রধানসহ পাঁচ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে জলঢাকা থানা পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি করা দুটি মোটরসাইকেল ও স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার (২৭ জুন) নীলফামারীর জলঢাকা, ডিমলা এবং পঞ্চগড় জেলার দেবগঞ্জ উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তাররা হলেন- চোর চক্রের প্রধান ফজল আলী ওরফে চোর চেয়ারম্যান ফজল (৩৯), তার সহযোগী আল-আমিন (২৬), মঈন হাসান ওরফে শিউল (২৮), ডাবলু মিয়া (৪৫), মো. সোহাগ (২০) ও হাসান আলী (১৯)।

জলঢাকা থানার পরিদর্শক ফিরোজ কবির জানান, দীর্ঘদিন থেকে জলঢাকাসহ নীলফামারী জেলা এবং আশপাশের বিভিন্ন জেলায় অভিনব কায়দায় তারা চুরি করে আসছিল।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৪ জুন গভীর রাতে জলঢাকা উপজেলার কিসামত বটতলা গ্রামের নুরন্নবীর বাড়িতে একই কায়দায় একটি মোটরসাইকেল, স্বর্ণের এক জোড়া হাতের বালা ও এক জোড়া কানের দুল তারা চুরি করে।

ওই ঘটনার সূত্র ধরে জলঢাকা থানা পুলিশের একটি দল তাদের গ্রেপ্তারসহ চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধারে মাঠে নামে।

গত ২৪ জুন থেকে ২৭ জুন সকাল পর্যন্ত নীলফামারী ও পঞ্চগড় জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে চক্রটির প্রধানসহ পাঁচ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ফিরোজ কবির জানান, সোমবার বিকেল গ্রেপ্তারদের আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করে আসামিদের জেলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

নীলফামারীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তার চোর চক্রের প্রধান ফজল আলীর বিরুদ্ধে নীলফামারী জেলাসহ আশপাশের জেলার থানায় ২৭টি চুরির মামলা রয়েছে।

চোরের দল বাড়ির টিউবওয়েল এবং পানির ট্যাংকের ভেতরে চেতনা নাশক ওষুধ মিশিয়ে দিতো। পরে ওই টিউবওয়েল বা ট্যাঙ্কির পানি পান করে বাড়ির সদস্যরা অচেতন হয়ে পড়লে তারা ঘরে ঢুকে আলমিরা, ওয়ার ড্রপ থেকে নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কার এবং বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে যেতো বলে আদালতে স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।