ছেলের ঘরে গিয়ে মা দেখলেন ধর্ষিতার রক্তক্ষরণ হচ্ছে

প্রতিবেশী কিশোরীকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তরুণের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে বরিশালের উজিরপুরের গুঠিয়া ইউনিয়নের বান্না গ্রামে। কিশোরীর বয়স ১৩ বছর এবং অভিযুক্ত তরুণের বয়স ১৮ বছর।

এ ঘটনায় বুধবার উজিরপুর থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। তবে স্থানীয় বান্না ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হানিফ হাওলাদার ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি মামলা না করার ব্যাপারে কিশোরীর পরিবারকে হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, অভিযুক্ত রাকিব গাজী ও কিশোরীর বাড়ি পাশাপাশি। মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে রাকিবের মা এবং ওই কিশোরীর মা এনজিও থেকে নেওয়া টাকার কিস্তি দিতে বাড়ি থেকে দূরে আশার কার্যালয়ে যান। ওই সময় মেয়েটিকে কৌশলে নিজের ঘরে নিয়ে যান রাকিব। ধর্ষণের পর একপর্যায়ে ব্যথা ও রক্তক্ষরণে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে রাকিব তাকে ফেলে পালিয়ে যায়।

কিছুক্ষণ পর রাকিবের মা বাড়ি ফিরে আসার পর ঘরে মেয়েটিকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। ওইসময়ও রক্তক্ষরণ হচ্ছিল মেয়েটির। তার জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করেন রাকিবের মা।

এদিকে মেয়েকে বাড়িতে না পেয়ে খুঁজতে খুঁজতে রাকিবের বাড়িতে চলে আসেন তার মা। এসেই মেয়েকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর প্রতিবেশীদের সহায়তায় বানারীপাড়ার চাখার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় কিশোরীকে।

সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মেয়েটির অবস্থা শঙ্কটাপন্ন দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই কিশোরীকে বরিশাল মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।

এদিকে ঘটনার পর থেকেই রাকিব গা ঢাকা দিয়েছে। ইউপি সদস্য হানিফ হাওলাদার বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করার অভিযোগ উঠলে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে।

উজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিশির কুমার পাল জানান, মেয়েটিকে ধর্ষণের অভিযোগ থানায় মামলা হয়েছে। আসামি রাকিব গাজীকে গ্রেপ্তার করতে জোর প্রচেষ্টা চলছে। রাকিব গাজীকে পালিয়ে যেতে ইউপি সদস্য হানিফ হাওলাদার সহায়তা করেছেন বলে কোনো অভিযোগ বাদী তার এজহারে উল্লেখ করেননি। তার পরেও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রাকিব গাজী পালানোর ব্যাপারে হানিফ হাওলাদার সহায়তা করার প্রমাণ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।