জীবনের শেষ ম্যাচের আগে কেমন লাগছে কিংবদন্তি ইনিয়েস্তার?

বার্সেলোনার জার্সিতে জীবনের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামার আগে ঠিক যেমন অনুভূতি হয়েছিল, শেষ ম্যাচের আগে একইরকম অনুভূতিই হচ্ছে তার। পার্থক্য একটাই, জীবনের প্রথম ম্যাচে নামার আগে তিনি কাঁদেননি। এখন কাঁদছেন। এই অনুভূতি নিয়ে আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা বলেছেন, ‘একই রকম নার্ভাস লাগছে। বারবার মনে পড়ে যাছে, এটাই তো আমার জীবনের শেষ ম্যাচ।’

আগামীকাল রবিবার রিয়াল সোসিদাদের বিপক্ষে নামবে বার্সেলোনা। ক্লাবের জার্সিতে শেষবারের জন্য মাঠে নামবেন কাতালানদের ‘মিডফিল্ড মায়েস্ত্রো।’ বিদায়ী ম্যাচের আগে তিনি যতটা না আবেগ আক্রান্ত, বিশ্ব ফুটবলের অন্য তারকারা তার চেয়ে দ্বিগুণ। সবার মুখে একই কথা, মাঝমাঠের এমন রূপকার বার্সা আবার কত বছর পর পাবে, তা বলা মুশকিল।

সেই ছোটবেলা থেকে বার্সার জার্সিতে খেলা শুরু ইনিয়েস্তার। প্রথমে লা মাসিয়া অ্যাকাডেমি। তার পর সেখান থেকে বার্সার সিনিয়র দলে সুযোগ পান তিনি। ৬০০ ম্যাচের ক্যারিয়ারে যেন রূপকথা লিখেছেন একের পর এক। শুধু খেলা নয়; অসাধারণ ব্যবহার দিয়ে মন জিতে নিয়েছেন প্রতিপক্ষের মন। এমন ফুটবলারের বিদায়বেলা সাদা-মাটা করে রাখতে চায়নি ক্লাব। মাদ্রিদের ক্লাব ইনিয়েস্তার জন্য একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করেছিল। নাম দিয়েছিল ‘ইনফিনিট ইনিয়েস্তা’।

সেই অনুষ্ঠানে এসেছিলেন বার্সায় ইনিয়েস্তার একসময়কার সতীর্থ জাভি, ইয়া ইয়া তুরে, থিয়েরি হেনরিরা। ছিলেন জিয়ানলুইজি বুফন, ফ্র্যান্সিসকো তোত্তির মতোরাও। শুধু ফুটবল জগত নয়, টেনিস জগতের শীর্ষ তারকা রাফায়েল নাদালও ছিলেন এই অনুষ্ঠানে। প্রত্যেককে এক কথায় ইনিয়েস্তাকে বর্ণনা করতে বলা হয়েছিল। নেইমার, নাদালরা ভিডিও বার্তা পাঠিয়েছেন ইনিয়েস্তার জন্য। দেখে নেওয়া যাক, বার্সার মাঝমাঠের জাদুকরকে নিয়ে এক কথায় কে কী বললেন-

আন্দ্রে পিরলো : বিস্ময়কর
কার্লোস পুওল : নিয়ন্ত্রক
সার্জিও রামোস : অসাধারণ
নেইমার : মধ্যমণি
রিভালদো : অনবদ্য
ইকার ক্যাসিয়াস : ব্যতিক্রমী
ডেভিড ভিয়া : অনবদ্য
বুফন : দৃষ্টিসুখ
জাভি : সেরা
রাফায়েল নাদাল : আলাদা