‘দেখলাম লোকটা অশালীন কাজ করছে, আমি চেঁচিয়ে উঠি’

‘দেখলাম লোকটা অশালীন কাজ করছে। তখন আমি জোরে চেঁচিয়ে উঠি, বান্ধবীকে বলি- বাসটা থামা। আমি ভিডিওতে লোকটার কাণ্ডকারখানার প্রমাণ রেকর্ড করি। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাই, বাসে আরও অনেক সহযাত্রী ছিলেন। আমি জোরে জোরে পুরো বিষয়টি বললেও কিন্তু তারা কেউ এগিয়ে আসেননি।’

শনিবার দুপুর ১২টার দিকে কলকাতার হেদুয়া থেকে দমদমগামী ৩০বি/১ বাসে প্রকাশ্য দিবালোকে চরম অসভ্যতার শিকার এক তরুণী এসব কথা বলেন।

ওই তরুণীর অভিযোগ, দুপুরে প্রাইভেট টিউশন পড়ে ফিরছিলাম। আমার সঙ্গে ছিল এক বান্ধবী। সেই আমাকে একটি লোকের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এই লোকটিই কিছু দিন আগে আমাদের সঙ্গে একই বাসে উঠেছিল এবং অশ্লীল কিছু কাজ করেছিল। আমি অবাক হয়ে দেখি, ফের সেই লোকটি অত্যন্ত অশালীন কাজ করতে শুরু করে।

ইতিমধ্যে বেগতিক দেখে লোকটা সিট ছেড়ে উঠে পড়ে এবং বাসের দরজার পাদানিতে গিয়ে দাঁড়ায়। বাস জোরে চলছিল বলে বোধহয় নামতে পারছিল না লোকটি। কন্ডাক্টরের কাছে আমি যখন পুরো ব্যাপারটি খুলে বলছিলাম, তখন লোকটি বাস থেকে নেমে যায়।

কলকাতা পুলিশের ফেসবুক পেজে ভিডিওসহ পুরো ব্যাপারটি লিখে অভিযোগ জানিয়েছি। আশা করছি পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।

এ বিষয়ে বাস কন্ডাক্টর অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞাহীনের মতো বললেন, কী করব বলুন- কার মনে কী থাকে, সেটি তো বাইরে থেকে বোঝা যায় না।

এদিকে পুরো বিষয়টি জানার পর কলকাতা পুলিশ নিজেদের ফেসবুক পেজে জানায়, প্রিয়াঙ্কা দেবী নামে একজন আমাদের পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করে জানিয়েছেন- বাসে এক পুরুষের চূড়ান্ত অশালীন অঙ্গভঙ্গির কথা। সেই পোস্টটি উল্লেখ করে অনেকে আমাদের মেসেজ করেছেন, প্রতিকার চেয়ে। এই ক্ষেত্রে লিখিত অভিযোগের কোনো প্রয়োজন দেখছি না।

পুলিশ বলেন, প্রিয়াঙ্কা দেবীর পোস্ট ও ভিডিও দুটিই যথেষ্ট। বিষয়টি নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই ফৌজদারি মামলা করেছি। ওই পুরুষকে যত দ্রুত সম্ভব চিহ্নিত করে কঠোর আইনিব্যবস্থার প্রতিশ্রুতি রইল। প্রিয়াঙ্কা দেবী, নিশ্চিন্ত থাকুন, ভরসা রাখুন। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখছি আমরা। দোষীকে তার অপরাধের মাসুল দিতে হবেই।