নওগাঁর রাণীনগরে ইরি-বোরো ধানের রোপন শুরু

নওগাঁর রাণীনগরে চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে ধান লাগানো শুরু করেছে চাষীরা। উপজেলার নিন্মাঞ্চলে বন্যার পানি জমি থেকে নেমে যাওয়ায় কিছুটা আগেই ধান লাগানো শুরু করেছেন কৃষকরা। গত আমন মৌসুমে ধানের ভাল ফলন এবং সর্বোচ্চ দাম পাওয়ায় ধান চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের।

উপজেলা কৃষি অফিস সুত্র জানায়, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে প্রায় সাড়ে ১৯ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই পরিমাণ জমিতে ধান রোপণের বিপরীতে ১১শ” ৭৭ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে।আবহাওয়া ভালো থাকায় এবং রোগবালাই না থাকায় চারাও ভালো হয়েছে। ইতি মধ্যে উপজেলার মিরাট,গোনা, রক্তদহ বিল এলাকা এবং বিভিন্ন খাড়ি এলাকায় ধান রোপন শুরু হয়েছে। তবে নির্ধারিত জমির মধ্যে প্রায় ৬হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা এবং সাড়ে ১১শ” হেক্টর জমিতে আলু রয়েছে।

এসব আলু-সরিষা ঘরে তোলার পর ধান রোপন শুরু হবে। কর্মকর্তারা বলছেন,গত আমন মৌসুমে কৃষকরা প্রতি বিঘা জমি থেকে ধান বিক্রি করে প্রায় ১৫-২০ হাজার টাকা লাভ করেছেন। ফলে ধান চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের। উপজেলার মিরাট ইউনিয়নের হরিশপুর গ্রামের কাজী মোবারক হোসেন,গোনার জাহাঙ্গীর আলম রক্তদহ বিল এলাকার কৃষক শহিদুল ইসলামসহ কৃষকরা বলেন,গত ইরি-বোরো মৌসুমে জমিতে ধান পেকে গেলেও বৈরি আবহাওয়ার কারনে সম্পন্ন ধান কেটে ঘরে তুলতে পারিনি। ফলে ওই মৌসুমে ব্যপক লোকসান হয়েছে। আমন মৌসুমে ধানের ভাল ফলন ও সর্বোচ্চ দাম পাওয়ায় বেশ লাভ হয়েছে। ফলে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে বীজবোপন করা হয়েছিল। বীজ প্রস্তুত হওয়ায় এবং আবহাওয়া ভাল থাকায় জমিতে ধান লাগানো শুরু করেছি।

রাণীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন,চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে এই উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পরিমাণ জমিতে ধান লাগানোর সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী আগেই বীজতলা তৈরি করে চারা প্রস্তুত করেছেন কৃষকরা। ইতি মধ্যে ধান রোপন শুরু হয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকে যেসব জমিতে আলু-সরিষা নেই সেসব জমিতে পুরোদমে ধান রোপন শুরু হবে।