পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সশস্ত্র হামলা চালিয়ে মুদী ব্যবসায়ীর হাতের রগ কর্তন

পটুয়াখালীর মহিপুরে প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে সারা শরীরে জখমের পর হালিম হাওলাদার (৪৫) নামে এক মুদী ব্যবসায়ীর ডান হাতের রগ কেটে দিয়েছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা।

বুধবার রাত ৯ টার দিকে মৎস্য বন্দর আলীপুরের মোশারেফ মিয়ার রেস্তোরাঁয় এই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় তাৎক্ষণিক ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে কুয়াকাটা ২০ শয্যা হাসপাতালে এ ভর্তি করে। তবে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে আহতের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের—ই—বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতে ওই ব্যবসায়ী মোশারেফ’র রেস্তোরাঁয় খেতে বসলে হঠাৎই সশস্ত্র হামলা চালায় স্থানীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসী রিয়াজ বানাই, রুবেল, রাসেল, শাহীন ও রাজু।

এসময় রেস্তোরাঁ এলাকায় জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু ব্যবসায়ীকে বাঁচাতে অনেকেই এগিয়ে গেলে তাদের অস্ত্র হাতে ধাওয়া করে রিয়াজসহ তার বাহিনী। এসময় ব্যবসায়ী হালিমকে সারাশরীরে এলোপাথারী কুপিয়ে ডান হাতের রগ কর্তন করে সন্ত্রাসীরা। প্রত্যক্ষদর্শী আনোয়ার জানান, হোটেলের মধ্যে যখন হামলা চলছিল তখন অনেকেই প্রাণভয়ে দৌঁড়ে পালিয়েছে। এমনকি সন্ত্রাসীরা যাবার সময় অস্ত্র উচিয়ে হাক ডাক দিয়ে বাজারে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে হোটেলে গিয়ে দেখি রক্তে ফ্লোর ভেসে গেছে।এদিকে আহতের স্বজনরা জানান, হামলার পর সন্ত্রাসীরা একটি মৎস্য ট্রলারযোগে আলীপুর ঘাট ছেড়ে পালিয়ে যায়। আর মৎস্য ট্রলারটি স্থানীয় সাবেক ছাত্র নেতা নজরুল ফকিরের।

আহত যুবক হালিমের ছোট ভাই মস্তফা জানান,সন্ত্রাসী রিয়াজ বানাই মূলত নজরুল ফকিরের আপন ভাগ্নে। তার প্রকাশ্য শেল্টারে এই সন্ত্রাসী বাহিনী আলীপুরে কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। এদিকে একাধিক ভুক্তভোগীর অভিযোগ, সন্ত্রাসী রিয়াজ বাহিনীর ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না অনেক নিরাপরাধ মানুষ। এই রিয়াজের নামে হত্যা চেষ্টাসহ নারী নির্যাতন, চাদাবাজী,দখল বানিজ্যের একাধিক মামলা রয়েছে। তবে মামার জোরে কদিন পর পর জেল থেকে বেরিয়ে যান তিনি। তাই ভয়ে তার বিরুদ্ধে গনমাধ্যমের সামনেও মুখ খুলতে সাহস পান না কেউ। এবিষয়ে নজরুল ফকিরের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তা সম্ভব হয়নি।

মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ফেরদাউস আলম খাঁন জানান, হামলার ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। রিয়াজ বাহিনীর নামে একাধিক মামলা রয়েছে। জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।