পাবনার ভাঙ্গুড়ায় রাস্তার অভাবে চরম দুর্ভোগ

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার প্রাচীন একটি গ্রাম পার-ভাঙ্গুড়া। এই গ্রামে জন্ম নিয়েছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. হোসেন আলী। যিনি মুক্তিযুদ্ধকালে কলকাতায় পাকিস্তান দূতাবাসে সর্বপ্রথম স্বাধীনবাংলার পতাকা উত্তোলন করেন। এই গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়েই তিনি লেখাপড়া করেন। অথচ স্কুলটির সাথে সংযোগের প্রাচীন সড়কটি সংস্কারের অভাবে ভেঙ্গে গেছে।
এর পাশেই রয়েছে একটি খাল। এর উপর নির্মিত পুরাতন ফুট ব্রিজটিও ক্ষতিগ্রস্থ। তাই ঝুঁকি নিয়ে বাশেঁর সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছে স্কুলের কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থী ও গ্রামের অধিবাসী, ব্যবসায়ী ও চাকুরীজীবী।

পার-ভাঙ্গুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র মারুফ ও মহুয়া পারভীন জানান, গ্রামের উত্তর এবং পশ্চিম পাড়ার সাথে স্কুলে যাতায়াতের রাস্তাটি ভেঙ্গে পড়েছে ক্যানেলে। তাই অন্যেও বাড়ির উপর দিয়ে স্কুলে যাতায়াত ও বাঁশের সাঁকো পারাপারে তাদের খুব কষ্ট হচ্ছে।

প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বলেন, এই স্কুলে নির্বাচনী কেন্দ্র থাকায় ভোটের সময় ও সরকারি কাজে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়।
তিনি ওয়াপদা গেট থেকে তিনশ মিটার রাস্তা পুন:নির্মাণের দাবী জানান।

গ্রামের বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি বীর মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলীর ভাই মাওলানা আব্দুল মান্নান বলেন, ক্যানেলের পাশ দিয়ে প্রাচীন রাস্তাটি পুন:নির্মাণ করলেই কেবল এই সমস্যা দুর হবে।

পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. হেদায়তুল হক স্কুল শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীর দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে বলেন, রাস্তার পাশের ক্যানেলটি গভীর হওয়ায় এর পাশ দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করতে অনেক টাকা ব্যয় হবে। যার প্রকল্প গ্রহণ করা একজন ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের পক্ষে সম্ভব নয়।

ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ আশরাফুজ্জামান বলেন, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলীর গ্রামের ওই রাস্তাটির ধার দিয়ে সুইচ গেটের পানি বড়াল নদীতে গড়ে পড়ায় বড় খালের সৃষ্টি হয়েছে। তাই এই রাস্তা পুন:নির্মাণে উচ্চ পর্যায়ের প্রকল্প নেওয়া প্রয়োজন।

গ্রামবাসী মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলীর স্মৃতি বিজড়িত স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী ও গ্রামের মানুষের এই সংযোগ সড়কটি পুন:নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।