পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মৌখিক পরীক্ষা ছাড়াই ভিসির ভাতিজিকে নিয়োগ!

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) উপাচার্য ড. রুস্তম আলীর বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি ও দলীয়করণের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ দেয়ার নানা অভিযোগ উঠেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার পদে নিজের আপন ভাতিজি কানিজ ফাতেমা ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ওলিউল্লাহকে নিয়োগ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাবের ভিআইপি অডিটোরিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী এক প্রার্থী।
নিয়োগ বঞ্চিত প্রার্থী মো. আতিকুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) সকালে সেকশন অফিসার পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ৪টি পদের বিপরীতে সহস্রাধিক পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৭২ জন মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার যোগ্যতা অর্জন করেন। লিখিত পরীক্ষায় শতভাগ ফলাফল নিয়ে ২৩ সেপ্টেম্বর মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি। মৌখিক পরীক্ষাতেও সবার চেয়ে ভালো ফলাফল অর্জন করেও নিয়োগ বঞ্চিত হই। কিন্তু এই মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করেও ভিসির আপন ভাতিজি কানিজ ফাতেমাকে না নিয়োগ দেয়া হয়। এই নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি ছিলেন ভিসি নিজেই।’
আর্থিক অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে দেয়া এই নিয়োগ বাতিল চান মেধা তালিকা থেকে নিয়োগ বঞ্চিত হওয়া মো. আতিকুল ইসলাম।
এছাড়াও ৪টি পদে নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন পাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ওলিউল্লাহও। তাকেও দলীয়করণের মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিকদের সত্যতা যাচাই করে সংবাদ করার আহ্বান জানিয়ে ভিসি প্রফেসর ড. এম রোস্তম আলী বলেন, ‘কানিজ ফাতেমার নিয়োগ পরীক্ষার মৌখিক পরীক্ষার সময়ে আমি ঢাকাতে ছিলাম। তাই এ নিয়োগে কোন অস্বচ্ছতার বিষয় সঠিক নয়।’
ভিসি বলেন, অস্বচ্ছ, অনিয়ম, আর্থিক লেনদেন করে অনৈতিকপন্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় এমন কোন কাজ করা হয়নি। যে বা যারাই অভিযোগ করেছেন। তারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে পারেননি বা আমাকে ভিন্নভাবে ম্যানেজ করার চেষ্টায় ব্যর্থ হওয়ায় একের পর এক উল্টোপাল্টা ও মিথ্যা মনগড়া অভিযোগ তুলে পরিবেশ নষ্ট করার পাঁয়তারা করছেন।’