পুরনো কোরআন সংগ্রহে ২ মাইল লম্বা সুড়ঙ্গ

মুসলিমদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কোরআন। প্রতিটি মুসলিম ধর্মগ্রন্থটি সবচেয়ে যত্নে সংরক্ষণ করেন। ব্যবহারের এক পর্যায়ে যখন ধর্মগ্রন্থটি পুরনো জীর্ণ-শীর্ণ হয়ে পড়ে তখনও সেটিকে সতর্কতার সঙ্গে সংরক্ষণের চেষ্টা করেন মুসলিমরা।

পুরনো কোরআন সংরক্ষণের জন্য পাকিস্তানের কোয়েটা শহরের কাছে এক পর্বতমালায় সুড়ঙ্গ তৈরি করা হয়েছে। পর্বতের সুড়ঙ্গ পথে হাজার-হাজার ছিঁড়ে যাওয়া কোরআন এনে রাখা হয়েছে। খবর: বিবিসি।

মুসলিমরা বিশ্বাস করেন, কোরআন পুরনো হয়ে গেলে কিংবা সেটির পৃষ্ঠা ছিঁড়ে গেলেও যেখানে-সেখানে ফেলে দেয়া উচিত নয়।

সেজন্য পাকিস্তানের বিভিন্ন এলাকা থেকে এ পাহাড়ের নিচে পুরনো কোরআনা জমা রাখা হয়।

সুড়ঙ্গটি প্রায় দুই মাইল দীর্ঘ। এ সুড়ঙ্গের ভেতরে দুই পাশে পুরনো কোরআন বস্তায় স্তূপ করে রাখা হয়েছে। একেকটি বস্তায় আট থেকে ১০টি কোরআনা রাখা হয়েছে।

এ সুড়ঙ্গে কাজ করেন আব্দুর রশিদ লেহরি। তিনি বলেন, ‘আমার বড় ভাই কোরআন ভালোবাসেন। যেসব কোরআন ফেলে দেয়া হতো, তিনি সেগুলো সংগ্রহ করতেন এবং তার গাড়িতে যত্ন করে রেখে দিতেন। এরপর আমরা এ জায়গাটি তৈরি করেছি।’

প্রতিদিন এখানে বহু পুরনো কোরআন আনা হয়। চারপাশে পুরনো কোরআনের স্তূপ দেখা যায়। এখান থেকে বাছাই করা হয়।

যেসব কোরআনের পৃষ্ঠা খুব বেশি ছিঁড়ে যায়নি, সেগুলোকে নতুন করে বাধাই করার জন্য আলাদা করে রাখা হয়। এরপর বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা এবং দরিদ্র মানুষের মাঝে এগুলো বিতরণ করা হয়।

যেসব কোরআন বাধাই করার অবস্থায় নেই, সেগুলো সুড়ঙ্গের ভেতরে সংরক্ষণ করে রাখা হয়।

কোরআন রাখার জন্য এ পর্বতের নিচে প্রতিনিয়ত সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ চলছে। তবে শক্ত পাথর কেটে সুড়ঙ্গ তৈরি করা বেশ কঠিন কাজ।