প্রচারণায় হামলা : অলি আহমদের ছেলেসহ আহত ১০

চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-লোহাগাড়া) আসনে ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীরবিক্রমের নির্বাচনী প্রচারণায় হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় অলি আহমদের ছেলেসহ অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে সাতকানিয়া উপজেলার কেঁওচিয়া ইউনিয়নের তেমুহুনী এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- অলি আহমদের ছেলে ওমর ফারুক সনি (৪০), কেঁওচিয়া ইউনিয়ন সভাপতি আবু ছৈয়দ (৫০), তার ছেলে আহমদ হৃদয় (২৭), আবু ছৈয়দের বড় ভাই আবদুস সালাম (৫৫), কেঁওচিয়া শ্রমিক দলের সভাপতি মো. এনাম (৩৫), এলডিপির সহ-সভাপতি মো. আকবর (৫০), এলডিপি কর্মী সিরাজুল ইসলাম (৪২), আবদুল আজিজ (২০), রবিউল করিম (২০), মো. বাবু (১৮)।

কেঁওচিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবু সাঈদ অভিযোগ করেন, তারা আজ (শনিবার) দুপুর ২টার দিকে অলি আহমেদের পক্ষে গণসংযোগে বের হন। এ সময় তাদের সঙ্গে অলি আহমেদের ছেলে ওমর ফারুকও ছিলেন। তাদের প্রচারণাটি সাতকানিয়া উপজেলার কেরানীহাটের তেমুহুনী এলাকায় গেলে দুর্বৃত্তরা তার ওপর হামলা চালায়। এ সময় দুর্বৃত্তদের হামলায় ওমর ফারুকের বাম হাতের আঙুল কেটে যায়। আহত হয় আরও অন্তত ১০ জন। গুরুতর আহত ওমর ফারুককে প্রথমে চন্দনাইশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল কবির বলেন, ‘দুপুরে কর্নেল অলি আহমদের ছেলে থানায় এসেছিলেন অভিযোগ নিয়ে। সে সময় তিনি জানান- ছাতা মার্কার প্রচারণা চালানোর সময় কিছু দুর্বৃত্ত তার ওপর হামলা চালায়। দুর্বৃত্তদের হামলায় ওমর ফারুকসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পায়নি। কে বা কারা হামলা চালিয়েছে, আমরা তা তদন্ত করে দেখছি।’

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির কর্মরত এএসআই শীলাব্রত বড়ুয়া জানান, বিকেল ৫টার দিকে কর্নেল অলি আহমদের ছেলে ওমর ফারুককে আহত অবস্থায় চমেক হাসপাতালে আনা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর পরিবারের সদস্যরা তাকে নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেছেন।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া) আসনে অলি আহমদ বীরবিক্রম এলডিপির দলীয় ছাতা প্রতীকে নির্বাচন করছেন।