বগুড়ার শিবগঞ্জে অন্যের মৃত্যুর সনদ মামলার নথিতে সংযুক্তির বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন

বগুড়ার শিবগঞ্জে শিবগঞ্জে অন্যের মৃত্যুর সনদ উত্তোলন করে মামলার নথিতে সংযুক্তির বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে মামলার বাদী আব্দুর রাজ্জাক।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার দাড়িদহ বাজারে রাজ্জাক মেডিকেল সেন্টারে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বিগত ২০১৩ সালে আমার ভাতিজা শরিফুল ইসলাম সৈকত খুন হয়। এ হত্যার কান্ডের ঘটনায় বাদী হয়ে জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন আব্দুর রাজ্জাক। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।

আব্দুর রাজ্জাক হঠাৎ জানতে পারে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে আমি বিষ্মিত হই। আমি খবর নিয়ে জানতে পারেন মোঃ রাজ্জাক, পিতা- মৃত: আমজাদ হোসেন, সাং- ময়দানট্টা (কালাইহাট্টা), উপজেলা- শিবগঞ্জ, জেলা- বগুড়ার নামে স্থানীয় মশদানহাট্টা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মৃত্যু সনদ উত্তোলন করা হয়েছে এবং ওই মামলায় নথিপত্রের সাথে সংযুক্ত করা হয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, মামলাটি বিচারাধীন থাকায় আসামীরা মামলা থেকে বাঁচতে মৃত্যু সনদ উত্তোলন করে মামলার নথিপথ্যের সাথে যুক্ত করেছে। আমি সন্ধান করে জানাতে পারি যে, আমার প্রতিবেশীর নাম এবং পিতার নাম, আমার এবং আমার পিতার নামের সাথে মিল থাকার কারণে প্রতিপক্ষরা এমন সুযোগ নিয়েছে।

তবে ইউপি চেয়ারম্যান আবু জাফর মন্ডল যদি আমার প্রতিবেশীর নামে মৃত্যুর সনদ দিয়ে থাকে তাহলে কোন সমস্যা নেই। এবিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশ করার জন্য অনুরোধ করছি এবং সেই সাথে প্রশাসনের প্রতি সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের জন্য দাবী জানান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন খোকনসহ স্থানীয় ব্যবসায়ী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।