রংপুরে দু’মাসেও গ্রেফতার হয়নি অন্তঃসত্ত্বা সুমি হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আদুরী টপ্য

রংপুরের মিঠাপুকুরে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কের জেরে স্বামী এবং তার প্রেমিকা কর্তৃক বালিশ চাপা দিয়ে ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা আদিবাসী তরণী সুমি কেরকেটা (১৬) হত্যার ঘটনায় স্বামী- দীপল টপ্য, গ্রেফতার হলেও গ্রেফতার হয়নি মূল পরিকল্পনাকারী অভিযুক্ত আদুরী টপ্য। এ ঘটনায় মামলার বাদী সুমি কেরকেটার বাবা বাবলু কেরকেটা, তদন্তকারী কর্মকর্তার প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তার দাবি, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই- মিজান,দায়িত্বে অবহেলা করছেন।

মামলার বিবরণ ও বাদীর বক্তব্য থেকে জানা গেছে, মিঠাপুকুর উপজেলার রানীপুকুর ইউনিয়নের মমিনপুর গ্রামের বাসিন্দা লেদা টপ্যর ছেলে দীপল টপ্যর (২৪) সাথে প্রতিবেশী বাবলু কেরকেটার মেয়ে সুমি কেরকেটার প্রেম- ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠলে তাদের পরিবারের সম্মতিতে সুমি কেরকেটা হত্যার আটমাস পূর্বে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পরে তাদের দাম্পত্য জীবন ভালোই চলছিল। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই দীপল টপ্য পাশ্ববর্তী আদুরী টপ্য নামে এক আদিবাসী নারীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে সুমি কেরকেটা এবং দীপলের মাঝে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। উভয় পরিবার চেষ্টা করেও দীপল টপ্যর পরকীয়া সম্পর্কের নিষ্পত্তি করতে পারেননি।

ঘটনার দিন গত-২৩ জুলাই (রবিবার) দীপলের পরকীয়া সম্পর্কের সার্লিস মিমাংসার দু’দিন পরেই সকালে দীপলের বসতঘর থেকে সুমি কেরকেটার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামী দীপল টপ্যকে আটক করে মিঠাপুকুর থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সুমি কেরকেটাকে হত্যার কথা স্বীকার করে দীপল টপ্য এবং মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে আদুরী টপ্যর নাম উল্লেখ্য করেন। ঘটনার পরপরই আদুরী টপ্য পালিয়ে যায়।

বাবলু কেরকেটা বলেন, ঘটনার দিনই আদুরী টপ্যকে গ্রেফতার করা যেতো! কিন্তু কালবিলম্ব হওয়ায় এবং পুলিশ আমাদের কথা না শোনায় আদুরী টপ্য পালিয়ে যায়। এখন প্রায় সুমি হত্যার দু’মাস হতে চললো, কিন্তু আদুরী টপ্য গ্রেফতারে পুলিশের কোনো অভিযান নেই। সম্ভবত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রভাবিত হয়েছেন।

তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই-মিজান জানান, আসামি পলাতক থাকায় গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছেনা। মামলাটি তদন্তাধীন থাকায় আমি কোনো মন্তব্য করতে পারবোনা। অভিযোগের বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।

এ বিষয়ে মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান বলেন, আসামি গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা চলছে। সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।