রাখাইন রাজ্যের আল ইয়াকিন প্রধানের দেহরক্ষী র‌্যাবের হাতে আটক

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের জঙ্গি সংগঠন আল ইয়াকিনের একাংশের প্রধান আবদুল হাকিমের দেহরক্ষী আবদুল আফসারকে টেকনাফ থেকে আটক করেছে র‌্যাব। এ সময় একটি বিদেশি পিস্তল ও ৫টি ওয়ান শুটার গানসহ গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।

র‌্যাব কক্সবাজার ক্যাম্প কমান্ডার মেজর রুহুল আমিন জানিয়েছেন, টেকনাফের উপজেলা পরিষদের পাশ থেকে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী আবদুল হাকিমের দেহরক্ষী নুরুল আফসারকে আটক করা হয়েছে। তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, গুলিভর্তি পিস্তলের ম্যাগাজিন, ৫টি ওয়ান শুটারগান ও ১০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। নুরুল অফসারকে টেকনাফ থেকে কক্সবাজারে নিয়ে আসা হচ্ছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী হাকিমকে গ্রেফতারে অভিযান চালানো হবে।

আবদুল হাকিম সীমান্তের নতুন রোহিঙ্গা সংগঠন আল ইয়াকিন টু এর প্রধান। সে মিয়ানমার ও বাংলাদেশে হত্যা, অপহরণ ও ডাকাতি সহ বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছিল। হাকিমকে ধরতে দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজারের বিভিন্ন দুর্গম পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে আসছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

মিয়ানমারের রাখাইনে গত অক্টোবরে হামলা চালিয়ে ৯ পুলিশ হত্যার দায় স্বীকার করেছে হারাকা আল-ইয়াকিন নামের একটি স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী। ২০১২ সালে মিয়ানমারের জাতিগত দাঙ্গার পর হারাকা আল ইয়াকিন নামের গ্রুপটি গড়ে ওঠে। সে সময়ের সহিংসতায় শতাধিক ব্যক্তি নিহত হয়। বাস্তুচ্যুত হয় ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষ, যাদের বেশির ভাগই রোহিঙ্গা।

হারাকা আল-ইয়াকিন গোপনে রাখাইন রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামে দুই বছরের বেশি সময় ধরে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে। হারাকা নেতা আতা উল্লাহ, যাকে গ্রুপটির নয়টি ভিডিওতে দেখা গেছে তার জন্ম করাচিতে। তিনি বর্তমানে সৌদি আরবের মক্কায় রয়েছেন। তার বাবা একজন অভিবাসী রোহিঙ্গা মুসলিম। আতা উল্লাহ পাকিস্তান বা অন্য কোথাও গিয়ে আধুনিক গেরিলাযুদ্ধের ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ নিয়েছেন বলে জানিয়েছে আইসিজি। হারাকা গ্রুপের জ্যেষ্ঠ ২০ সদস্যের একটি কমিটি দেশের বাইরে থেকে গ্রুপটির কর্মকাণ্ড তদারকি করে থাকে।