লকডাউনের খবরে ক্রেতাদের ভিড় সিলেটের নিত্যপণ্য বাজারে

সকাল ৭টা থেকে খুলা হয়েছে সিলেট শহরের বড়-বড় পাইকারি ও খুচরা বাজারে নিত্যপণ্য বিপনীবিতান কেন্দ্র গুলো। তবে সেই সকালেই বেশ ভিড় ক্রেতাদের।

সোমবার (৫ এপ্রিল) সারাদেশে লকডাউনে খবর শুনার পর সিলেটে সাধারণ মানুষের খাদ্যদ্রবাদী ও প্রয়োজনীয় দ্রবাদি মুজদ নিয়ে রয়েছেন আশষ্কার মধ্যে। অধিক পণ্য ক্রয় করে রাখছেন সাধারণ মানুষ।

সিলেট নগরীরর সবচেয়ে বড় পাইকারী আড়ৎ কালিঘাটে সকাল থেকে উপচেপড়া ভিড় চোখে পড়ার মতো।

শুধু কালিঘাট নয় বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, আম্বরখানা, শীবগঞ্জসহ সকল পাইকারি বাজার ও কাচাবাজার হু হু করে ক্রেতা ভিড় করছেন।

রবিবার (৪ এপ্রিল) বাজার ঘুরে দেখা যায়, এসব পাইকারি আড়তের দোকান গুলো অন্যান্য দিন সকাল ৯টা থেকে ১০টার দিকে খোলা হতো। কিন্তু লকডাউন শোনার পর অনেক দোকানদার ফজরের নাম পড়ে খুলতে শুরু করেন। এ খবরে আশপাশের লোকজন জানার পর অনেক দোকানদার ও ক্রেতারা বাজারে আসতে শুরু করেন।

কালিঘাটের এক ব্যবসায়ী জানান, আজকের বাজার অন্যান্যদের দিনের তুলানায় সবচেয়ে বেশি বেচা কেনা হয়েছে। ৭ দিনের লকডাউনের খবর শুনে ক্রেতা বাড়তি দামে নিত্যপণ্য ক্রয় করছেন। এ সুযোগে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অনেক পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।

একজন ক্রেতা জানান, পরিস্থিতি কোন দিকে যায় বুঝা মুশকিল, সামনে রমজান মাস বিধায় আগ থেকে সব ধরণের পণ্য মজুধ করে রাখছি। তবে যে পরিমান নিত্যপণ্য ক্রয় করেছি আশা করি আগামী ২ মাস পর্যন্ত চলবে।

পাইকারি বাজার ছাড়াও কাঁচা বাজার, মাছ ও মাংসের বাজারেও হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন ক্রেতারা।

ব্যবসায়ীরা জানান, চাহিদা বেশি কিন্তু জিনিস কম। এ অবস্থায় দাম বৃদ্ধি হয়েছে সকল জিনিস পত্রের।

লকডাউনের আগে ক্রেতাদের এই হুমড়ি খেয়ে পড়া অবস্থায় স্বাস্ব্যবিধি কেউ মানছেন না। এতে করে করোনার আক্রমন আরোও বাড়তে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।