সিলেট থেকে হামলাকারী ফয়জুলের বাবা-মা আটক

সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালকে ছুরিকাঘাত করা যুবক ফয়জুল ইসলামের বাবা ও মাকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার রাত ১০টার দিকে সিলেট মহানগরের মদিনা মার্কেট এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। জালালাবাদ থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) প্রত্যুষ কুমার এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘ড. জাফর ইকবালের ওপর হামলাকারী ফয়জুল ইসলামের বাবা হাফেজ আতিকুর রহমান ওরফে কুরশ এবং মা মিনারা বেগমকে আটক করা হয়েছে। পরে তাদের জালালাবাদ থানায় আনা হয়।’

তবে কীভাবে তাদের আটক করা হয়েছে, তা জানাতে রাজি হননি এএসআই প্রত্যুষ কুমার।

সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক জামসেদ আলম জানিয়েছেন, আটকের পর থানা থেকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে ফয়জুল ইসলামের বাবা-মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

এদিকে, সংবাদমাধ্যমে আটকের খবরে জালালাবাদ থানায় ছুঁটে আসেন ফয়জুল ইসলামের মামী রিপা রহমান। তিনি পরিবর্তন ডটকমকে জানান, থানায় এসে আমি কাউকে পাইনি। পুলিশও কিছু বলতে পারছে না।

এর আগেই গতকাল শনিবার রিপা রহমানের স্বামী ফজলুর রহমানকে (হামলাকারীর মামা) পুলিশ আটক করেছে।

উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার বিকেলে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে অধ্যাপক ড. জাফর ইকবালের মাথার পেছনে ছুরিকাঘাত করেন ফয়জুল ইসলাম নামের এক যুবক।

পরে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা তাকে ধরে গণপিটুনির পর পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। পুলিশ এ ঘটনায় দায়ের মামলায় ফয়জুল ইসলামকে গ্রেফতার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে।

আর অধ্যাপক জাফর ইকবালকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে, অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলার ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ইলিয়াস উদ্দিন বিশ্বাস জানান, তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল গণিকে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. শহিদুর রহমান।

এছাড়া অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা দুই কনস্টেবলকে রোববার রাতে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ আবদুল ওয়াহাব জানিয়েছেন, হামলার সময় সেখানে দায়িত্বে থাকা দুই কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তদন্তে তাদের দায়িত্ব পালনে কোনো ধরনের গাফিলতি পাওয়া গেলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।