কোকা-কোলা বাংলাদেশের মালিকানা পাচ্ছে তুরস্কের কোম্পানি

কোকা-কোলা বাংলাদেশ বেভারেজেস লিমিটেডকে (সিসিবিবি) অধিগ্রহণ করতে যাচ্ছে তুরস্কের কোকাকোলা আইসেক (সিসিআই)। ১৩ কোটি মার্কিন ডলারের বিনিময়ে হবে এই অধিগ্রহণ, যা দেশীয় মুদ্রায় ১ হাজার ৪৩০ কোটি টাকার সমান।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইস্তাম্বুল স্টক এক্সচেঞ্জ-এর তালিকাভুক্ত সিসিআই জানিয়েছে, চুক্তি চূড়ান্ত করার সময়ে সিসিবিবি’র নিট আর্থিক ঋণ বিয়োগ করে এটির সম্পূর্ণ শেয়ারের মূল্য ১৩০ মিলিয়ন ডলারের এন্টারপ্রাইজ ভ্যালুতে নির্ধারণ করা হবে।

এ অধিগ্রহণ শেষ হলে বাংলাদেশ হবে সিসিআই-এর দ্বাদশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাজার।

চুক্তি অনুসারে, সিসিআই এর ডাচ সাবসিডিয়ারি সিসিআই ইন্টারন্যাশনাল হল্যান্ড বিভিকে সিসিবিবি’র সংখ্যাগরিষ্ঠ শেয়ারের মালিক বানাবে। অন্যদিকে সিসিআই নিজে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানটির সংখ্যালঘু শেয়ারের মালিক হবে। বর্তমানে সিসিআই-এ কোকা-কোলা’র শেয়ার ২৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ। আর তুর্কি বেভারেজ জায়ান্ট আনাদোলু এফেস-এর শেয়ার রয়েছে ৫০ দশমিক ২৬ শতাংশ।

কোকা-কোলা বাংলাদেশ বেভারেজ লিমিটেড এ অধিগ্রহণের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

তবে একাধিক গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টার দ্য কোকা-কোলা কোম্পানি’র সিঙ্গাপুরভিত্তিক সাবসিডিয়ারি কোকা-কোলা হোল্ডিংস থেকে বাংলাদেশি কোম্পানিটি কিনে নেবে তুরষ্কের সিসিআই।

বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল পানীয়বাজারের সুযোগ লুফে নেয়ার দিকে নজর রয়েছে সিসিআই’র, তাই এ চুক্তিটি কয়েক সপ্তাহের মধ্যে হয়ে যেতে পারে বলে টিবিএস-এর সঙ্গে আলাপাকালে কোকা-কোলার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মত প্রকাশ করেন।

অধিগ্রহণের বিষয়ে সিসিআই-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা করিম ইয়াহি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমরা সিসিবিবি অধিগ্রহণের জন্য শেয়ারক্রয় চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে পেরে খুবই আনন্দিত। এটিকে আমরা ভবিষ্যতের উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনাপূর্ণ একটি বাজারে প্রবেশের দুর্দান্ত সুযোগ হিসেবে দেখছি, যেখানে সিসিআই-এর মৌলিক সক্ষমতাগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে প্রবৃদ্ধি এবং মূল্য তৈরি করা যাবে।’

সিসিআই তুরস্ক, পাকিস্তান, কাজাখস্তান, ইরাক, উজবেকিস্তান, আজারবাইজান, কিরগিজস্তান, জর্ডান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান এবং সিরিয়ায় কোকা-কোলা কোম্পানির পানীয় উৎপাদন, বিতরণ এবং বিক্রি করে। ১১টি দেশে ১০ হাজারের বেশি কর্মীসংখ্যার এ প্রতিষ্ঠানটির ৩০টি বোতলজাতকরণ প্ল্যান্ট এবং ৩টি ফল প্রক্রিয়াকরণ কারখানা রয়েছে।